Heatwave Students Dinhata

তাপপ্রবাহে দিনহাটায় স্কুলেই অসুস্থ দুই ছাত্র, রাজ্যের ছুটির সূচিতে ক্ষোভ

জেলা

দিনহাটায় অসুস্থ ছাত্র শুভ্র সেন। ছবি: অমিত কুমার দেব

তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে কোচবিহার জেলার দিনহাটায় দুই স্কুলে অসুস্থ হয়ে পড়ল দুই ছাত্র। দু’টি ঘটনাতেই শিক্ষকরা ব্যবস্থা নেন। কোচবিহারে তীব্র গরম। রাজ্যের সরকার ঘোষিত গরমের ছুটির সূচিতে উঠেছে প্রশ্ন। 
অসুস্থ ছাত্র শুভ্র সেন কোচবিহার জেলার দিনহাটা ৩ নম্বর চক্র সম্পদ কেন্দ্রের কিসামত দশগ্রাম এসি প্রাথমিক বিদ্যালয় চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র। অপর ছাত্রের নাম অর্জুন বর্মন। সে দিনহাটা ৩ নম্বর চক্রের মোক্তারের বাড়ি জুনিয়র বেসিক স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র। এই দুই ঘটনায় মঙ্গলবার ছড়ালো চাঞ্চল্য।
শ্রেণি কক্ষে ক্লাস চলাকালীন হঠাৎই মাথা ঘোরা ও অস্বস্তি অনুভব করে শুভ্র। এই সময় কিসামত দশগ্রাম এসি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুকান্ত চক্রবর্তী তাৎক্ষণিক ভাবে ছাত্রটির চোখ-মুখে জল দেন। মাথায় জল ঢেলে প্রাথমিক চিকিৎসা করেন। এরপর ছাত্রটির অভিভাবককে খবর দেওয়া হলে তাঁরা এসে দ্রুত এই ছাত্রকে স্থানীয় এক গ্রামীণ চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান।
অন্যদিকে, এদিন ক্লাস চলাকালীন প্রচণ্ড গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ে মোক্তারের বাড়ি জুনিয়র বেসিক স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র অর্জুন বর্মন। অসুস্থ হয়ে পড়ে পাশে বসা সহপাঠীর ঘাড়ে মাথা এলিয়ে দেয় সে। উপস্থিত শিক্ষক শুভেন্দু চক্রবর্তী সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেন। ছেলেটিকে বেঞ্চে শোয়ানো হয়, চোখ-মুখে এবং মাথায় জল দিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়। এরপর কাছাকাছি একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয় এবং চিকিৎসকের পরামর্শে অভিভাবকের হাতে তাকে তুলে দেওয়া হয় বাড়িতে পাঠানোর উদ্দেশ্যে।
রাজ্যের সরকারের অবৈজ্ঞানিক চিন্তাভাবনা এবং দায়িত্বজ্ঞানহীনতার কারণেই এই তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে স্কুলে আসতে হচ্ছে পড়ুয়াদের। শিক্ষা মহলের ক্ষোভ, দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়ার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের ফারাক না বুঝেই গরমের ছুটি ঘোষণা করছে রাজ্য। গরমের ছুটির সময় উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া মনোরম থাকছে। স্কুল খোলার পর অসহ্য গরম পড়ছে। আর তারই কুফল ভোগ করতে হচ্ছে এই কোমলমতি পড়ুয়াদের। এখন গ্রীষ্মের ছুটির মেয়াদ শেষ, অথচ গোটা উত্তরবঙ্গ সহ কোচবিহার জেলাতেও চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। আর এর মাঝেই নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটতে হচ্ছে পড়ুয়াদের। আর তীব্র গরম এভাবেই অসুস্থ হয়ে পড়ছে তারা।
এই ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন এসএফআই রাজ্য সভাপতি প্রণয় কার্যী। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘গোটা রাজ্যের আবহাওয়ার বৈচিত্র বিচার না করে এভাবে গ্রীষ্মের ছুটি চাপিয়ে দেওয়াটা পুরোপুরি অবৈজ্ঞানিক। সরকারের এই ভুল সিদ্ধান্তের ফলেই আজকে অসুস্থ হতে হচ্ছে পড়ুয়াদের। অন্তত গ্রীষ্মের ছুটি ঘোষণার দায়িত্ব বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কিংবা সংশ্লিষ্ট ডিআই কিংবা এআইদের ওপর অর্পণ করা উচিত সরকারের।’’
অসুস্থ দুই পড়ুয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনা করে প্রণয় কার্যী বলেন, এই মুহূর্তে উত্তরবঙ্গে তীব্র দাবদাহ। তাই এসএফআই’র দাবি এই মুহূর্তে উত্তরবঙ্গের সমস্ত বিদ্যালয়ের পঠন পাঠন করা হোক সকালে।

Comments :0

Login to leave a comment