TMC expelled shantanu and kuntal

অনুব্রত, মানিকে চুপ
শান্তনু এবং কুন্তলকে বহিষ্কারের ঘোষণা তৃণমূলের

রাজ্য

অনুব্রত মণ্ডল মানিক ভট্টাচার্যদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নিল না তৃণমূল। মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলন করে কুন্তল ঘোষ এবং শান্তনু ব্যানার্জিকে বহিষ্কারের ঘোষণা করল তৃণমূল।

রাজ্যের দুই মন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং শশী পাঁজা সাংবাদিক সম্মেলন করে এই ঘোষণা করেন মঙ্গলবার। নিয়োগ দুর্নীতিতে কুন্তল এবং শান্তনুকে গ্রেপ্তার করেছে ইডি। কুন্তল তৃণমূলের যুব নেতা। শান্তনু হুগলি জেলার স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ।

স্কুলের নিয়োগে টাকার বিনিময়ে চাকরি দুর্নীতিতে সরাসরি যোগের তথ্য আদালতে এই দু’জনের বিরুদ্ধেই পেশ করেছে ইডি। তারপরও কেন জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ পদে শান্তনু, এই প্রশ্ন তুলে সোমবারই ডিওয়াইএফআই ঘেরাও করেছিল চুঁচুড়ায় হুগলী জেলা পরিষদের দপ্তর। 

সোমবারই আদালতে ইডি দাবি করে যে শান্তনুর মোবাইল ফোন থেকে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গিয়েছে। ইডি’র বয়ান অনুযায়ী, ‘এমন সব নাম রয়েছে জানলে চমকে উঠতে হবে’। তৃণমূলের একাধিক শীর্ষস্থানীয় নেতার সঙ্গে শান্তনু এবং কুন্তল দু’জনকেই দেখা গিয়েছে। অভিষেক ব্যানার্জির সঙ্গেও তাঁর ছবিও দেখা গিয়েছে। 

 

এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে শশী পাঁজা বলেন, ‘‘তৃণমূল কখনই দোষীদের সমর্থন করে না। যাদের নামে প্রকাশ্যে এসেছে দল তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপও করেছে। তৃণমূল অভিযুক্তদের সমর্থন করে না।’’ এই কথা বলেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সাসপেণ্ড করার উদাহরন তুলে ধরেন তিনি। 

কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে যেই মানিক ভট্টাচার্যের গোটা পরিবার জেলে তাঁর বিরুদ্ধে কেন কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না দল? গরু পাচার কাণ্ডে জেলে থাকা অনুব্রত মণ্ডলকে কোন বহিষ্কার করছে না তৃণমূল?

উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ইডি’র তদন্ত আটকাতে কোটি কোটি টাকা খরচ করে আদালতে মামলা লড়ে শিক্ষা দপ্তর। ২০১৯ সাল থেকে বার বার নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে পথে নামলেও শিক্ষা দপ্তর বা রাজ্য সরকার নিজেদের উদ্যোগে কোন তদন্ত করেনি। 

শশী পাঁজা, ব্রাত্য বসুরা যখন কুন্তল, শান্তনুকে বহিষ্কার করছে তখন ৭৩০ দিনে পা দিয়েছে এসএসসি চাকরি প্রার্থী ধর্ণা। টানা ৭৩০ দিন ধরে রোদ, ঝড়, বৃষ্টি উপেক্ষা করে ধর্ণা চালিয়ে যাচ্ছেন চাকরি প্রার্থীরা।

যত তদন্ত এগোচ্ছে এই দুর্নীতির সাথে তৃণমূলের যোগ ততোস্পষ্ট হচ্ছে। এসএসসি গ্রুপ-সি তে আদালতের নির্দেশে যাদের চাকরি গিয়েছে তাদের মধ্যে তৃণমূলের বিধায়কে মেয়ে থেকে রাজ্যের মন্ত্রীর ভাই এমনকি প্রাক্তন কাউন্সিলরের নাম তালিকায় রয়েছে। এই দুর্নীতির সঙ্গে যারা যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে কি পদক্ষেপ নেমে তৃণমূল?

'বহিষ্কার’ নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। অতীতে আরাবুল ইসলামকে বহিষ্কারের ঘোষণা করেছিল তৃণমূল। আবার কোনও ঘোষণা ছাড়াই দলে সক্রিয় থাকতে দেখা গিয়েছে।

Comments :0

Login to leave a comment