BJP manifesto

দুর্নীতিগ্রস্তদের সঙ্গে নিয়েই হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ঘোষণা মোদীর

জাতীয় লোকসভা ২০২৪

অজিত পাওয়ার, একনাথ শিন্ডে, শুভেন্দু অধিকারীদের সাথে নিয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ডাক দিলেন প্রধানমন্ত্রী।
রবিবার লোকসভা নির্বাচন উপলক্ষে নিজেদের ইস্তাহার প্রকাশ করে বিজেপি। 
সংকল্প পত্রে বিজেপির পক্ষ থেকে মহিলাদের যুবদের এবং কৃষকদের উন্নতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তার বক্তব্যে জানিয়েছেন যে তৃতীয়বারের জন্য বিজেপি সরকার গঠিত হলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাদের লড়াই আরও কঠোর হবে এবং যারা দুর্নীতিগ্রস্ত তাদের শাস্তি দেওয়া হবে। উল্লেখ্য একটা সময় যে অজিত পাওয়ার, একনাথ শিন্ডে, শুভেন্দু অধিকারীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছিল আজ তারাই বিজেপির নেতা না হলে বিজেপির শরিক। 
বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর এদের বিরূদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। একাধিক দূর্নীতির তদন্ত যেমন সারদা, নারদা, শিক্ষক নিয়োগ দূর্নীতির তদন্ত ধীর গতিতে চলছে।
মোদী এদিন বলেন, নারীদের জন্য, যুবকদের জন্য, কৃষকদের জন্য এবং আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া অংশে মানুষদের উন্নয়নের জন্য কাজ করবে নতুন সরকার।
কিন্তু পরিসংখ্যান বলছে মোদি সরকারের আমলে স্বাধীনতার পর বেকারত্বের হার সবথেকে বেশি। একের পর এক বিজেপি শাসিত রাজ্যে নারী নিরাপত্তা তলা নিতে গিয়ে ঠেকেছে। তার উদাহরণ যে উত্তরপ্রদেশ রাজ্য থেকে নরেন্দ্র মোদী সাংসদ হয়ে জিতে সংসদে এসেছেন সেখানকার উন্নাও এবং হাথরাসের ঘটনা। 
কৃষক বিরোধী কৃষি বিল বাতিলের দাবিতে উত্তাল হয়েছিল গোটা দেশ। কৃষকদের আন্দোলন ঠেকাতে  জল কামান, পলিশ নামিয়েছিল মোদী সরকার। সেই বিজেপি বলছে তারা কৃষকদের উন্নতির জন্য কাজ করবে!
দেশের মানুষ যখন দুবেলা ঠিকভাবে খেতে পারছে না। গরিব মানুষের অবস্থা যখন ক্রমশ খারাপ হচ্ছে, দেশে অর্থনীতি যখন ক্রমশ তলানিতে নামছে, ক্ষুধা সূচকে ভারতের স্থান যখন ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছে তখন বিজেপি তার সংকল্প করতে গ্যারান্টি দিচ্ছে যে আগামী সরকার গরিবের উন্নয়নের জন্য কাজ করবে।
বিগত ১০ বছরে গরিব মানুষের উন্নয়নের জন্য কোন পদক্ষেপ কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে নিতে দেখা যায়নি। জিনিসপত্রের দামে লাগাম টানা তো দূর কোন নতুন প্রকল্প আনার চিন্তা ভাবনা করেনি বিজেপির সরকার।
এদিন সংকল্প পত্র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে গত ১০ বছরে কাজের খতিয়ান দিতে গিয়ে বিজেপির হাতিয়ার হয়েছে সেই রাম মন্দির। দেশে কর্মসংস্থানের নতুন সুযোগ তৈরি করতে তারা পেরেছে কিনা, জিনিসপত্রের দামে নিয়ন্ত্রণ আনতে তারা পেরেছে কিনা, সে বিষয়ে একটা কথাও তারা উল্লেখ করেননি।

Comments :0

Login to leave a comment