GRIHA SAHAYIKA CITU

কলকাতায় প্রথম গৃহ সহায়িকা সম্মেলন সিআইটিইউ’র

রাজ্য কলকাতা

GRIHA SAHAYIKA CITU শুক্রবার শ্রমিক ভবনে প্রথম গৃহ সহায়িকা সম্মেলনে প্রতিনিধিদের একাংশ।

কাজ করেন তাঁরা। বাড়ি বাড়ি গৃহ সহায়িকার কাজ। কিন্তু শ্রমজীবীর স্বীকৃতি নেই। নেই সামাজিক সুরক্ষা। রাজ্যের সরকার সংগঠন করার অধিকারও দিতে নারাজ। ফলে লড়াই চলবে।

সরাসরি এই ঘোষণায় শুক্রবার কলাকাতায় সিআইটিইউ রাজ্য দপ্তর শ্রমিক ভবনে গৃহ সহায়িকাদের প্রথম রাজ্য সম্মেলন হলো। 

সম্মেলনের উদ্বোধন করেন সিআইটিইউ নেত্রী গার্গী চ্যাটার্জি। অভিনন্দন জানিয়ে বক্তব্য রাখেন সিআইটিইউ পশ্চিমবঙ্গ কমিটির সভাপতি সুভাষ মুখার্জি। রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে ১২০ জন প্রতিনিধি সম্মেলনে অংশ নেন। কাজের ক্ষেত্রে বঞ্চনায় খতিয়ান তুলে ধরেন প্রতিনিধিরা। 

সম্মেলনে একজোট হয়ে প্রতিনিধিরা যে দাবিগুচ্ছ তুলে ধরলেন তা হলো: এক, চাই ন্যায্য মজুরি চাই সম্মান। দুই, সকল গৃহ সহায়িকাকে সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। কল্যাণ বোর্ড গঠন করতে হবে। তিন, প্রত্যেক গৃহসহায়িকা কে সচিত্র পরিচিতপত্র দিতে হবে। চার, গৃহ সহায়িকাদের সপ্তাহে একদিন ছুটি, অসুস্থতার ছুটিমাতৃত্বকালীন ছুটিএছাড়াও বছরে বিশেষ ছুটির জন্য সরকারি সার্কুলার জারি করতে হবে। পাঁচ, চাই নূন্যতম মজুরি, ৭৫ টাকা প্রতি ঘন্টা। 

গার্গী চ্যাটার্জি বলেন, ‘‘গৃহ সহায়িকার কাজ একটি জীবিকা। তা’হলে শ্রমিকের মর্যাদা থাকবে না কেন’’। সুভাষ মুখার্জি বলেন, ‘‘এঁরাও অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিক। সামাজিক সুরক্ষার দাবি তুলতে হবে তাঁদের জন্যও। শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতি দিতে লাগাতার গড়িমসি করছে এ রাজ্যে মমতা ব্যানার্জির সরকার। এমনকি সংগঠনের ছাতার তলায় একজোট হয়ে তাঁরা জীবন জীবিকার লড়াইয়েও বাধা দিচ্ছে। সংগঠনকে স্বীকৃতি দিতেও অস্বীকার করছে রাজ্য সরকার। লড়াই চলবে।’’ 

সম্মেলন হয়েছে কমরেড শ্যামল চক্রবর্তী নগর (কলকাতা) এবং কমরেড তরুণ ভরদ্বাজ মঞ্চ (শ্রমিক ভবন)-য়ে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গৃহ সহায়িকা ও তাঁদের সংগঠকরা এই সম্মেলনে এসেছেন।

Comments :0

Login to leave a comment