রাজ্য সরকারের ত্রুটির একশো দিনের কাজের প্রকল্পে বরাদ্দ যেন বন্ধ না হয়। উপভোক্তাদের কাছে যেন টাকা পৌঁছায়। ষোড়শ অর্থ কমিশনে এই দাবি জানালো সিপিআই(এম)।
অর্থ কমিশনে এদিন মালদহ এবং মুর্শিদাবাদে ভাঙন, উত্তরবঙ্গে হরপা বান, সুন্দরবনে বারবার ঘূর্ণিঝড়ে বিপন্ন জনতার জন্য বরাদ্দের দাবি জানিয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় রাজ্যকে কেন্দ্রের বিশেষ বরাদ্দের জন্য বলেছে সিপিআই(এম)।
মঙ্গলবার নবান্নে ষোড়শ অর্থ কমিশনে সিপিআই(এম)’র বক্তব্য জানাতে যান রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। অর্থ কমিশন জাতীয় স্তরের পাশাপাশি রাজ্যগুলি থেকেও সংশ্লিষ্ট সব অংশের বক্তব্য নেয়। সেই কাজেই রাজ্যে সিপিআই(এম)’র বক্তব্য জানতে চাওয়া হয়েছিল।
স্মারকলিপিতে সিপিআই(এম) বলেছে, মহাত্মা গান্ধী গ্রামীণ কর্মসংস্থান নিশ্চয়তা প্রকল্প, আবাস যোজনা, সড়ক যোজনার মতো প্রকল্পের শর্ত মেনে চলতে হয় রাজ্যকে। দীর্ঘদিন ধরে এই সমস্যার সমাধান না হওয়ায় রাজ্যের মানুষকে ভুগতে হচ্ছে। কেন্দ্রীয় প্রকল্পে টাকার বরাদ্দ ঘিরে সমস্যা কাটানো জরুরি যাতে রাজ্যের মানুষের অসুবিধা না হয়।
রাজ্যের তৃণমূল সরকার হিসেব দিচ্ছে না, এই অভিযোগে বরাদ্দ বন্ধ করেছে কেন্দ্র।
বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের বিপদের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলার উদ্যোগে হিমালয় সংলগ্ন অঞ্চলের পাশাপাশি উপকূলবর্তী রাজ্যগুলিকে ৯০ শতাংশ কেন্দ্রীয় সহায়তায় আনা উচিত। পশ্চিমবঙ্গের মতো এমন সব রাজ্যকে এই প্রকল্পের আওতায় আনা উচিত।
যোজনা কমিশনকে বলা হয়েছে, বিশ্ব উষ্ণায়নের জেরে সাইক্লোন, মেঘভাঙা বৃষ্টি, হরপা বানের হিমালয়ের পাদদেশ অঞ্চলে পরিস্থিতি উদ্বেগজনক।
বলা হয়েছে, মালদহ এবং মুর্শিদাবাদে গঙ্গার গতিপথ পরিবর্তনের জেরে বড় সংখ্যায় মানুষ গৃহহীন। এই সমস্যা মোকাবিলায় কেন্দ্রের থেকে বিশেষ তহবিলের অর্থ রাজ্যগুলিতে পাঠানো জরুরি।
বিভাজ্য করে কেন্দ্র এবং রাজ্যের ভাগ অর্ধেক করে হওয়ার দাবি ফের তুলেছে সিপিআই(এম)। বলা হয়েছে, রাজ্যগুলিকে বিভাজ্য করের ৪১ শতাংশ দেওয়ার কথা। কেন্দ্র রাজ্যগুলির ভাগ এড়াতে সেস বা সারচার্জ বসিয়ে রাজস্ব আদায় করছে। এগুলির ভাগ রাজ্যগুলিকে দিতে হয় না। ফলে বিভাজ্য খাতে বাস্তবে আদায় হওয়া রাজস্বের ২৯.৬ শতাংশ মাত্র পাচ্ছে রাজ্যগুলিতে। এই বৈষম্য বন্ধ হওয়া উচিত। আঞ্চলিক বৈষম্য কাটাতেও অর্থ বরাদ্দে ইতিবাচক পদক্ষেপের দাবি বরাবরের মতোই তুলেছে সিপিআই(এম)।
Comments :0