নকশালবাড়িতে নাবালিকাকে দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনায় নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন মহিলা প্রতিনিধি দল। সোমবার সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি দার্জিলিঙ জেলা কমিটির পক্ষে মহিলা প্রতিনিধি দল শিলিগুড়ি মহকুমার নকশালবাড়ির চা বাগান এলাকায় নির্যাতিতা নাবালিকার বাড়িতে পৌঁছে যান। নির্যাতিতার মায়ের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি সেই পরিবারটিকে সমস্ত ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন মহিলা নেতৃবৃন্দ। প্রতিনিধি দলে ছিলেন রত্না চৌবে, মনি থাপা, স্নিগ্ধা হাজরা, তানিয়া দে, সুমিতা মজুমদার সহ অন্যান্যরা। ছিলেন এলাকার চা শ্রমিক নেতা গৌতম ঘোষও। এছাড়াও এলাকার অসংখ্য মহিলা সাথে ছিলেন। এদিন নির্যাতিতা নাবালিকার বাড়ির পাশে খোলা জায়গায় মহিলা নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হয়ে নাবালিকার মায়ের সঙ্গে কথা বলেন। নাবালিকার মা জানান, বাগানের কাজ করি। তাই বাইরে থাকতে হয়। মেয়ে হোমে রয়েছে। কিন্তু বাড়িতে আনার সাহস পাচ্ছি না। যদি ওরা কোন ক্ষতি করে দেয়।
প্রসঙ্গত শিলিগুড়ি মহকুমার নকশালবাড়ির একটি চা বাগান এলাকায় গত ২০ এপ্রিল রাতে বাড়ির বাইরে ফোনে কথা বলার সময় এক নাবালিকাকে পেছন থেকে মুখে চেপে ধরে দুই যুবক চা বাগানের ভেতরে নিয়ে যায়। এরপর সেখানে আরও এক যুবক চলে এসে তিনজন যুবক মিলে একাধিকবার নাবালিকাকে শারিরীক নির্যাতন করে। অনেক রাতে স্থানীয়রা নাবালিকাকে চা বাগানের ভেতরে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে নকশালবাড়ি থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে নকশালবাড়ি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নাবালিকাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য পাঠায়। নকশালবাড়ি থানায় নাবালিকার পরিবারের পক্ষে দায়ের করা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রাতেই অভিযুক্ত সরোজ টোপ্পো, পঙ্কজ মাহাতো ও রোশন কুমার মাহাতোকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে একাধিক তথ্য প্রমান সংগ্রহ করে। বর্তমানে নির্যাতিতা মেয়েটি হোমে রয়েছে।
শিলিগুড়ি মহকুমার নকশালবাড়ির চা বাগানে নাবালিকাকে দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি ও পরিবারের প্রতি হুমকির বিষয়ে গত এপ্রিল মাসের ২৫তারিখে চিয়াকামান মজদুর ইউনিয়ন ও ওই চা বাগানের শ্রমিকেরা, বিশেষ করে বাগানে অসংখ্য মহিলারা যৌথভাবে নকশালবাড়ি থানার সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। ২৮ এপ্রিল নির্যাতিতা নাবালিকার ও তার পরিবারকে উপযুক্ত সুরক্ষা দেবার দাবিতে সংগঠনের পক্ষ থেকে গণস্বাক্ষর সম্বলিত অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয় নকশালবাড়ি থানায়। নির্যাতিতা নাবালিকার পরিবার ও উদ্ধারকারী স্থানীয় বাসিন্দার অভিযোগ, ধৃতদের পরিবার নির্যাতিতা ও তাদের পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। নিরাপত্তাহীনতা ও প্রাণসংশয়ে ভুগছেন দুটি পরিবারের সদস্যরা।
AIDWA
নকশালবাড়ির নির্যাতিতার বাড়িতে মহিলা সমিতির প্রতিনিধি দল

×
Comments :0