শুক্রবারের পর ফের আমতা কোর্টে আনিস মামলার শুনানি হলো মঙ্গলবার। শুক্রবার আনিস মামলার শুনানিতে আনিসের পরিবারের আইনজীবিরা প্রশ্ন তোলেন, যে নথি সিজার লিস্টে সিট জমা দিয়েছে, তাতে হোয়াটস্যাপের চ্যাট নেই কেন? হাওড়া গ্রামীণ পুলিশের অতিরিক্ত সুপার ও এলএসআই প্রিয়াঙ্কা পালের মধ্যে যে চ্যাট হয়েছিল সেই চ্যাটের কপি দেওয়া হলো না কেন? এসব না দিয়ে তদন্ত কি করে সম্পন্ন হলো? আনিস মামলার ফের তদন্তের দাবি করেন তাঁরা। মঙ্গলবারের শুনানিতে সেদিনের হাওড়া গ্রামীণ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও এলপিএসআই প্রিয়াঙ্কা পালের মধ্যে যে চ্যাট হয়েছিল সেই চ্যাটের কপি জমা দেওয়া হলো কের্টে। যদিও আনিসের পরিবারের আইনজীবীরা দাবি করছেন, এই চ্যাট অসম্পূর্ণ। পুরো চ্যাট জমা দিতে হবে। প্রথমে সিট আমতার তৎকালীন ওসি, দেবব্রত চক্রবর্তী সহ পাঁচজনকে অভিযুক্ত করলেও কেন এই অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে তদন্তের আওতায় আনা হলো না?
সিভিক ভলেন্টিয়ারদের নিয়ে অভিযান চালায় আমতা থানার পুলিশ। আনিস খানের বাবা সালেম খানের অভিযোগ মতে, তাঁকে বন্দুক ঠেকিয়ে বাড়ির দোতালায় উঠে যায় পুলিশ ও সিভিক ভলেন্টিয়াররা। এর কিছুক্ষণ পরেই পুলিশ বাড়ি থেকে চলে যায়। পরে বাড়ির পাশেই আনিস খানকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পায় তার পরিবার। পরে মারা যায়। থানায় বারবার ফোন করেও কোনো সাহায্য মেলেনি। এমনকি থানা থেকে বলা হয় যে পুলিশ যায়নি আনিসের বাড়িতে। একই বিবৃতি দেয় তৎকালীন হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশের সুপার সৌম রায়। পরে সিট গঠন হয়। সিট তৎকালীন আমতা থানার ওসি দেবব্রত চক্রবর্তী, নির্মল দাস, কনস্টেবল কাশীনাথ বেরা এবংদুই সিভিক সৌরভ কাঁড়ার ও প্রীতম ভট্টাচার্য অভিযুক্ত করে তদন্ত শুরু করে।
Comments :0