GAZA HUGE BOMBS

গাজার লোকালয়ে ১০০’র বেশি ভারী বোমা, ‘ভিয়েতনামের পর হয়নি’

আন্তর্জাতিক

সংঘাতের প্রথম ত্রিশ দিনেই গাজায় একশোর বেশি ভারী বোমা ফেলেছে। ২ হাজার পাউন্ডের প্রতিটি বোমা হাজার ফুট দূরের ঘরবাড়িও ধ্বংস করতে পারে। 
উপগ্রহের ছবিই দেখাচ্ছে বোমার আঘাতে ৫০০’র বেশি বড় গর্ত হয়ে রয়েছে গাজায়। প্রতিটি গর্তের ব্যাসার্ধ ৪০ ফুটের বেশি। সংবাদ প্রতিষ্ঠান সিএনএন’কে যুদ্ধ বিশারদ মার্কলাস্কো বলেছেন, ভিয়েতনাম যুদ্ধের পর সাধারণের বসতিতে এভাবে বোমা ফেলা দেখা যায়নি। 
শুক্রবার প্যালেস্তাইনের স্বাস্থ্য বিভাগ জানাচ্ছে, ৭ অক্টোবরের পর থেকে সংঘাতে ২০ হাজারের বেশি নাগরিক নিহত। গাজার মোট নাগরিকের সংখ্যাই ২০ লক্ষের কিছু বেশি। গাজায় নিরাপদ জায়গা বলে কিছু নেই। ৮০ শতাংশ বাসিন্দাই ঘর ছেড়ে অন্যত্র রয়েছেন। উদ্বাস্তু শিবিরেও হামলা চালাচ্ছে ইজরায়েলের বাহিনী। 
বিশ্বময় ধিক্কারের মধ্যেও ইজরায়েলের হাত শক্ত করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আমেরিকার টালবাহানায় রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে আটকে রয়েছে যুদ্ধবিরতি এবং মানবিক ত্রাণের সপক্ষে তৈরি প্রস্তাব। এর আগে এমন প্রস্তাব দু’বার ভেটো প্রয়োগ করে আটকে দিয়েছে আমেরিকা। 
৭ অক্টোবর গাজা ভূখণ্ড কেন্দ্রীক হামাস আক্রমণ হেনেছিল ইজরায়েলের মাটিতে। তার আগে চলতি বছরেই ইজরায়েলের দখলদারিতে প্যালেস্তাইনের প্রাণ ৩০০ নাগরিক নিগত হন। অক্টোবরের হামলার বদলা বলে আগ্রাসন মারাত্মক পর্যায়ে তুলে দেয় ইজরায়েল। আকাশ থেকে অবিরত বোমাবর্ষণ শুরু হয়। পরে ভূখণ্ডের জমিতেও ঢুকে পড়েছে ইজরায়েলের ট্যাঙ্ক, গুলি চলছে হাসপাতালে, উদ্বাস্তু শিবিরে। 
গাজার স্বাস্থ্য বিভাগ এদিন জানিয়েছে মৃতের সংখ্যা অন্তত ২০ হাজার ৫৭। ধ্বংসস্তূপ সরালে মিলবে আরও বহু দেহ। কে হামাস আর কে সাধারণ নাগরিক বছবিচারের তোয়াক্কাই করেনি ইজরায়েল। হামাসকে নিশ্চিহ্ন করার কথা বললেও বাস্তবে প্যালেস্তানীয় প্রত্যেককে হত্যা করতে নেমেছে। 
গাজা এমনিতেই ঘন বসতিপূর্ণ। সাত দশকের ইজরায়েলী দখলদারিতে ঘরহারা মানুষের ঠাঁই প্যালেস্তাইনের এই অংশে। তার মধ্যেই লোকালয়ে মারাত্মক ভারী বোমা ফেলে গিয়েছে ইজরায়েল। সমরবিদরা বলছেন, নাগরিকদের হত্যার নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য না থাকলে এভাবে বোমা ফেলা হয় না।

Comments :0

Login to leave a comment