GAZA WHITE PHOSPHOROUS

‘হোয়াইট ফসফরাস’ ফেলছে ইজরায়েল, পাশে মোদী

আন্তর্জাতিক

GAZA WHITE PHOSPHOROUS টুইটার থেকে।

মারাত্মক দাহ্য ‘হোয়াইট ফসফরাস’ ফেলছে ইজরায়েলের সেনা। গাজার জনবহুল এলাকায় ফেলা হচ্ছে যুদ্ধে ব্যবহারে নিষিদ্ধ এই রাসায়নিক অস্ত্র। সোশাল মিডিয়াতেও উঠেছে এমন অভিযোগ। এর মধ্যেই ফের ইজরায়েলের ‘পাশে দাঁড়ানোর’ বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। 

ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সরাসরিই গাজাকে নিশ্চিহ্ন করার ঘোষণা করে পুরোদমে যুদ্ধে নেমেছেন। ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী জল-স্থ-আকাশপথে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং ফ্রান্সের মতো পশ্চিমী দুনিয়ার খোলা সমর্থন পাওয়ায় আরও বেপরোয়া ইজরায়েল। ইজরায়েলের দখলদার রাষ্ট্রের ভূমিকা আড়ালেও চলছে জোরদার প্রচার। 

শ্বেত ফসফরাস ব্যবহার নিয়ে শঙ্কা কেবল গাজা নয়, ছড়িয়েছে সংলগ্ন এলাকায়। ভিয়েতনাম যুদ্ধে নাপাম বোমা ব্যবহার করেছিল আমেরিকা। সারা বিশ্বে নিন্দিত সেই যুদ্ধ কৌশল। শ্বেত ফসফরাসও ব্যবহার হয় বিপুল এলাকাজুড়ে অগ্নিকাণ্ড ঘটানার জন্য, বলছেন সমরবিদরা। উত্তাপ ৮১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়াতে পারে। সরাসরি সংযোগে এলে মৃত্যু অনিবার্য। বেঁচে গেলেও প্রভাব সারা জীবন বয়ে বেড়াতে হয়, বলছেন তাঁরা। 

রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিষেধাজ্ঞা আছে গণবিধ্বংসী দাহ্য পদার্থ সাধারণ নাগরিকদের ওপর ব্যবহারে। ১৯৭২ সালে রাষ্ট্রসঙ্ঘের জাতীয় পরিষদে এই মর্মে পাশ হয় প্রস্তাব। বলা হয় যে দাহ্য ব্যবহার করে ধ্বংসক্রিয়া চালানো এবং শ্বাসরোধ করার মতো পদার্থ, নাপাম বা হোয়াইট ফসফরাস, জনবসতিতে ব্যবহারের জন্য নয়। 

ইজরায়েল এর আগে ২০০৬ সালে লেবাননের হিজবুল্লাহের বিরুদ্ধে সংঘর্ষে এবং ২০০৮-০৯ সালে গাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধে। রাশিয়ার বিরুদ্ধেও অভিযোগ রয়েছে।

এর মধ্যেই মঙ্গলবার নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছেন যে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু তাঁকে ফোন করেছিলেন। মৃত্যু ১৬০০ ছাড়িয়েছে। নেতানিয়াহুকে জানানো হয়েছে যে কঠিন সময়ে ভারতের জনগণ পাশে আছে।’’

মোদী বলেছেন, ‘‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারত দৃঢ় অবস্থান বজায় রেখেছে এবং সব ধরনের সন্ত্রাসবাদের কড়া নিন্দা করছে।’’ 

গত শনিবার প্যালেস্তাইনের গাজা স্ট্রিপ থেকে হামাস বাহিনী ইজরায়েলের সুরক্ষা ব্যবস্থা এড়িয়ে হামলা চালায়। তাজেই সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ বলেছেন মোদী। কিন্তু চলতি বছরের ইজরায়েলের বাহিনী প্যালেস্তাইনে একাধিক এলাকায় ঢুকে অন্তত ২৮০ জন সাধারণ নাগরিককে হত্যা করেছে। নিজের দেশের বাসিন্ডদাদের প্যালেস্তাইনের ভূখণ্ডে বসিয়ে দিয়েছে সেনা পাহারায়। ভারত বরাবর ইজরায়েলের এই দখলদারি ভূমিকার সমালোচনা করেছে। মোদী সেই পরম্পরা বাতিল করেছেন। 

Comments :0

Login to leave a comment