MODI DUSSEHRA

তিনি রামের দিকে, বিরোধীরা রাবণ! ‘দশেরা’-র ভাষণে মোদী

জাতীয়

রাবন দহন কেবল পুতুল জ্বালানো নয়। দেশের সব দু্র্বৃত্তদেরও দহন। যারা জাতিবাদ এবং আঞ্চলিকতার নামে ভারতে ভাগাভাগি করে, যারা ভারতের বিকাশের বদলে ক্ষুদ্রস্বার্থকে বড় করে দেখে, তাদেরও দহন। রাষ্ট্রের সব খারাপ শক্তিকে রাষ্টভক্তির জোরে হারানোর প্রতীক। 

‘দশেরা’ অনুষ্ঠানের মঞ্চে নির্বাচনী লক্ষ্য সাজিয়ে এই মর্মেই ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বোঝানোর চেষ্টা করলেন, তিনি রামের দিকে। তাঁর বিরোধীরা সবাই রাবনের দিকে। 

মঙ্গলবার দ্বারকার সেক্টর ১০’র রামলীলা ময়দানে ‘দশেরা’ অনুষ্ঠানে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁকে মঞ্চে বসিয়ে ঘোষণার ফাঁকে ফাঁকে চলল ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি। মোদীও তালে তাল মিলিয়ে বললেন, ‘‘হাজার হাজার বছর ধরে অপেক্ষা ছিল। অবশেষে অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধন হচ্ছে। রামের আগমনের দিন গোনা তো শুরু হয়ে গেল বিজয়া দশমীর দিন থেকে।’’ 

মোদী জানিয়েছেন যে এবার ‘রামরাজ্য’ তৈরি কাজ হবে। রামের বিচারের ভারত হবে। বিকশিত ভারত হবে যেখানে বিশ্বশান্তির বার্তা থাকে, যেখানে সব নাগরিকের সমান অধিকার হয়, যে ভারত আত্মনির্ভর হতে পারে।

 

মোদীর রামমাহাত্ম্য তুলে নিজের মাহাত্ম্য প্রচারের এমন ভাষণ নতুন নয়, বারবারই দেখিয়েছেন পর্যবেক্ষকরা। ‘সবার সুমতি’-র জন্য ‘রামরাজ্য’ উপমা সমাজেও বহুল প্রচলিত। কিন্তু মোদীর প্রধানমন্ত্রীত্বে ধনী দরিদ্রের বৈষম্য লাফিয়ে বেড়ে যাওয়ায় এমন ভাষণ কতটা কাজের হবে তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। 

রামরাজ্যের জন্য দশটি সংকল্প দেশবাসীকে নিতে বলেছেন মোদী। তার মধ্যে রয়েছে জলের অপচয় বন্ধ করা, প্রাকৃতিক চাষ, মিলেট খাদ্যতালিকায় নিয়মিত করা, গ্রামে শহরে স্বচ্ছতা অভিযান, ‘ভোকাল ফর লোকাল’ এবং ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’, ‘কোয়ালিটি’ কাজ করে ‘কোয়ালিটি’ ভারত বানানো, আগে দেশ দেখে সময় মিললে বিদেশ, গরিব পরিবারে সদস্য হয়ে গরিবি দূর করা, যোগাসন এবং শরীরচর্চা। 

রামলীলা মঞ্চের বাইরে যদিও বাস্তব আলাদা। কারণ ভোটের প্রচারে নামতে সেনা এবং সরকারি আধিকারিকদের তালিকা করছে সরকার। মোদী ধান্দার ধনতন্ত্রের রক্ষক, দেশকে ভাঙার শক্তি বিজেপি এবং আরএসএস, প্রতিবাদীদের দমনেই নিবিষ্ট মোদী- এই প্রচার এখন সর্বত্র। 

Comments :0

Login to leave a comment