election commission supreme court

নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের বৈঠক কাল, বিতর্কিত আইনের শুনানি পরদিনই

জাতীয়

নির্বাচন কমিশনের ফাঁকা দু’টি পদ। দুই নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করছে কেন্দ্র। সংশ্লিষ্ট কমিটির সদস্য এবং লোকসভায় কংগ্রেস দলনেতা অধীর চৌধুরী প্রস্তাবিত নামের বিশদ চেয়েছেন। এর মধ্যেই নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইনের বিপক্ষে দায়ের আবেদনে শুনানির দিন জানালো সুপ্রিম কোর্ট। 
প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ কমিটির বৈঠক হওয়ার কথা বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ, বেলা বারোটায়। এই কমিটিতে লোকসভার বৃহত্তম বিরোধী দলের নেতা হিসেবে সদস্য অধীর চৌধুরী। কেন্দ্রের এক মন্ত্রীও থাকবেন তিন সদস্যের কমিটিতে। কমিটির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নিয়োগ করবেন রাষ্ট্রপতি। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে বাদ দিয়ে এই নিয়োগ কমিটি করার জন্য আইন পাশ করেছিল কেন্দ্র। যার বিরুদ্ধে জমা পড়েছে আবেদন।
অ্যাসোসিয়েশন অব ডেমেক্র্যাটিক রিফর্মসের আবেদনে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে মামলার শুনানি হবে শুক্রবার, ১৫ মার্চ। বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চ আইনজীবী প্রশাসন্ত ভূষণের আবেদনে সাড়া দিয়েছে বুধবার। বিচারপতি খান্না বলেছেন, ‘‘প্রধান বিচারপতির বার্তা পেয়েছি। শুক্রবার এই আবেদনের শুনানি ঠিক করতে বলেছেন তিনি।’’
নির্বাচন কমিশনকে নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে বারবারই উঠেছে। কমিশনের কাজের ধারা নিয়ে প্রশ্নও জোরালো হয়েছে। নির্বাচন কমিশনারের পদ থেকে আচমকা অরুণ গোয়েল ইস্তফা দেওয়ার দেশময় সংশয় তৈরি হয়েছে। ফেব্রুয়ারিতেই অবসর নিয়েছিলেন অনুপ কুমার পান্ডে। ফলে তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশনে এখন কেবল রয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। সামনেই লোকসভা নির্বাচনের সূচি ঘোষণা হওয়ার কথা।  
নির্বাচন কমিশনে সরকারি কর্তৃত্ব সংক্রান্ত মামলার রায়েই সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল নিয়োগের কমিটিতে প্রধানমন্ত্রী, লোকসভার বিরোধী দলনেতা এবং দেশের প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে কমিটি গড়তে। মোদী সরকার সেই নির্দেশকে বাতিল করতে আইন পাশ করে সংসদে। আইন অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের কমিটিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বদলে থাকবেন কেন্দ্রেরই মন্ত্রী। এই বাছাই কমিটিকে সম্ভাব্য নামের তালিকা পাঠাবে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীর নেতৃত্বে গঠিত বাছাই কমিটি।
অধীর চৌধুরী লোকসভায় বৃহত্তম বিরোধী দলের নেতা হিসেবে নিয়োগ কমিটির সদস্য। কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের সচিব রাজীব মানিকে চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি। চৌধুরী বলেছেন, বাছাই কমিটি যাদের নাম ঠিক করে পাঠাবে সেই আধিকারিকদের বিশদ দিতে হবে। ভিজিল্যান্স কমিশনার এবং কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনার নিয়োগের সময়েও প্রস্তাবিত আধিকারিকদের সম্পর্কে বিশদ জানানো নিয়ম।

Comments :0

Login to leave a comment