বাসব বসাক
রাজধানীর বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে বিষপাষ্পে। গাঢ় ধোঁয়াশায় ডুবে আছে দিল্লি। এই নভেম্বরের মাঝামাঝি দিল্লির বাতাসের গুণগত মানের সূচক ছুঁয়েছে ৫০০-র মাত্রা। এমনকি শহরের কোনও কোনও এলাকায় তা ছাপিয়ে গেছে ১৫০০-র মানও; যা কিনা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নির্ধারিত নিরাপদ মাত্রার তুলনায় বহু গুণ বেশি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিকা অনুযায়ী বাতাসের মানের সূচক ৩০০ ছোঁয়া মানেই তা স্বাস্থ্যের পক্ষে বিপজ্জনক। আর ৪৫০ পেরোনো মানে অতি বিপজ্জনক। দিল্লির বাতাস সেই অতি বিপজ্জনক মাত্রাও পেরিয়ে গেছে। এখন সেখানে প্রতি নিঃশ্বাসে ফুসফুস ভরে উঠছে বিষে ৷ প্রতিদিন বাতাসের সঙ্গে যাবতীয় ধাতব কণা ও গ্যাস সহ গোটা পর্যায় সারণি ফুসফুসে ভরে নেওয়ার পরেও বেঁচে থাকাটাই যেন এক অত্যাশ্চর্য ব্যাপার। পরিস্থিতি এতটাই ভয়ঙ্কর যে বন্ধ করে দিতে হয়েছে রাজধানীর সমস্ত স্কুল-কলেজ। বেশিরভাগ অফিসেই চালু করতে হয়েছে সেই কোভিডকালীন ওয়ার্ক ফ্রম হোম। ধোঁয়াশা এতটাই গাঢ় যে দিনদুপুরেও বড়জোর কয়েক মিটারের বেশি নজর চলে না। ফলে ভীষণভাবে ব্যাহত ট্রেন ও বিমান পরিষেবা। ২০১৮-তে ইয়েল ও কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরামের সঙ্গে এক যৌথ গবেষণায় দেখিয়েছিলেন বাতাসের গুণগত মানের নিরিখে ১৮০ টি দেশের মধ্যে ভারতের স্থান ১৭৮ তম। তারা আরও জানান এ দেশে ফি বছর বায়ু দূষণের কারণে গড়ে ১৬ লক্ষ ৪০ হাজার ১১৩ জনের মৃত্যু ঘটে থাকে। এদের মধ্যে ৪১%-এর মৃত্যুর কারণ সিওপিডি, ২০% মারা যান ডায়াবেটিসে, ১৯% ফুসফুসের ক্যানসারে ও ১৬% হৃদযন্ত্রের সমস্যায়। হেলথ এফেক্ট ইনস্টিটিউট ২০১৯-এ দেখিয়েছে বায়ু দূষণের কারণে মানুষের গড় আয়ু কমছে ২০ মাস ক'রে। আর এ বছরের আগস্টে শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের এনার্জি পলিসি ইনস্টিটিউট কৃত এক গবেষণায় দেখা যাচ্ছে বায়ু দূষণের করাল থাবায় দিল্লির জাতীয় রাজধানী অঞ্চলে বসবাসকারী ১ কোটি ৮০ লক্ষ মানুষের গড় আয়ু কমছে প্রায় ১২ বছর (১১.৯) ক'রে। তার মানে যে মানুষটা হয়তো ৭২ বছর বাঁচতেন, বিষাক্ত বাতাসের ছোবলে তাকে মরতে হচ্ছে তার বয়স ৬০ বছর পেরোতে না পেরোতেই।
রাজধানী বলেই হয়তো দিল্লিকে নিয়ে এত শোরগোল শুরু হয়েছে। দেশের প্রথম সারির প্রতিটি সংবাদপত্রেই এখন প্রথম পাতায় শিরোনাম হচ্ছে দূষণ জর্জর দিল্লির সংবাদ। বায়ুদূষণের নিরিখে বিশ্বের সব থেকে দূষিত শহরগুলির মধ্যে প্রথম দশটিই ভারতের। গবেষকরা বলছেন বায়ুদূষণের কারণে পাকিস্তানের পূর্বপ্রান্ত, নেপালের দক্ষিণাঞ্চল ও প্রায় সমগ্র বাংলাদেশ সহ উত্তর ভারত জুড়ে বিস্তৃত গাঙ্গেয় সমভূমি অঞ্চলের বাসিন্দাদের আয়ু দেশের অন্যান্য অংশে বসবাসকারী নাগরিকদের তুলনায় অন্তত ৭ বছর কম। অর্থাৎ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, দিল্লি, উত্তর প্রদেশ, বিহার পশ্চিমবঙ্গের মানুষের জীবনকাল হ্রস্বতর হচ্ছে দূষিত বাতাসের কারণে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৯% ও ভারতের ৪০%-এর বাস এই বিস্তীর্ণ গাঙ্গেয় সমভূমি অঞ্চলেই।
ভাল নেই কলকাতাও। কলকাতার বাতাসের গুণমানের সূচকও ইতিমধ্যেই ছুঁয়ে গেছে ৩০০-র মান। বর্তমানে দেশের বায়ুদূষণ প্রকোপিত ৪৬ টি শহরের মধ্যে কলকাতার অবস্থান ৪১ তম। ল্যানসেট ও ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চে ২০২০ সালে প্রকাশিত এক রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ নির্ধারিত নিরাপদ মাত্রার তুলনায় ৩ থেকে ৫ গুণ দূষিত বাতাসে শ্বাস নিতে হয় কলকাতাবাসীদের। শহরের ঘিঞ্জি এলাকাগুলোই শুধু নয়, সল্টলেকের মতো তুলনামূলক ফাঁকা জায়গাগুলোতেও ক্রমশ বাড়ছে দূষণের মাত্রা। সবুজে মোড়া বোটানিক্যাল গার্ডেনে এ বছর বায়ুর মানের সূচক ২৬২-তে পৌঁছে যেতে দেখা গেছে । শুধু কলকাতাই নয়, দুর্গাপুর ও আসানসোলে সূচক ছুঁয়েছে যথাক্রমে ২৭৯ ও ২৭১-এর মান। ল্যানসেট প্রকাশিত তথ্য বলছে শুধু ২০১৯-এ বাংলা জুড়ে বায়ুদূষণের বলি হয়েছে ১,২২৮৩৩ জন, যে সংখ্যাটা কিনা এ রাজ্যে কোভিডে মোট মৃতের সংখ্যা ১১০০৯-এর তুলনায় ১০ গুণ বেশি। স্বভাবতই এ রাজ্যেও বায়ু দূষণ আমাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে এক ভয়ঙ্কর বিপদ হয়ে দেখা দিয়েছে। কিন্তু এসব নিয়ে সরকারের তেমন কোনও উদ্বেগ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। ২০১৮-১৯ এ বায়ুর ১০ মাইক্রন ব্যাসের ভাসমান কণা বা পিএম-১০ এর ঘনত্ব কমিয়ে দূষণ মোকাবিলার জন্য কলকাতা পেয়েছিল ৮৪৬.২৫ কোটি টাকা। তার ৮০% ই খরচ হয়ে গেলেও বছরে গড়ে মাত্র ২৫% কমেছিল পিএম-১০। কিন্তু ২০২৩-২৪ আবার তা বেড়ে এখন কলকাতায় ভাসমান প্রদূষক কনার ঘনত্ব দাঁড়িয়েছে বাতাসের প্রতি ঘন মিটারে ৯৪ মাইক্রোগ্রাম, যা কিনা দেশের অনুমোদিত সীমা ৬০ মাইক্রোগ্রামের তুলনায় ৫০% বেশি। গত কালী পুজোয় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করে যেভাবে রাজ্যজুড়ে বাজি পোড়াতে দেওয়া হলো তা সত্যিই ভয়াবহ। ডিজেল যান নিয়ন্ত্রণেও কোনও কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না রাজ্যে। আর এসবের মাশুল গুনতে হচ্ছে আমাদেরকেই। বিশেষ ক'রে শিশু ও কিশোরদের অবস্থা করুণ হয়ে উঠছে ক্রমশ। তবে সন্দেহ নেই বায়ুদূষণের করাল গ্রাসে রাজধানী দিল্লির হাল এই মুহূর্তে এতটাই সঙ্কটজনক যে কেউ কেউ তো দিল্লি থেকে রাজধানী সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তাবও দিয়ে ফেলেছেন।
কিন্তু দিল্লির এই ভয়ঙ্কর বায়ুদূষণের কারণ কি? এ প্রশ্ন উঠলেই সকলে প্রায় এক বাক্যে বলে থাকেন পার্শ্ববর্তী হরিয়ানা ও পাঞ্জাবে কৃষকরা ফসল তোলার পর যথেচ্ছভাবে ফসলের অবশেষ বা খড় পোড়ানোর ফলেই যত বিপত্তি। সেই খড় পোড়া ধোঁয়া ও ছাই হাওয়ার পিঠে সওয়ার হয়ে উড়ে এসে আচ্ছন্ন ক'রে তোলে রাজধানীর আকাশ। ওই ধোঁয়াশায় দমবন্ধ হয়ে আসে রাজধানীর। কৃষিজমির খড় পোড়া ধোঁয়া সন্দেহাতীতভাবেই দিল্লির ভয়ঙ্কর বায়ুদূষণের অন্যতম কারণ; তবে সেটাই একমাত্র কারণ নয়। তথ্য বলছে বিগত চার বছরে পাঞ্জাব ও হরিয়ানায় কৃষিজমিতে খড় পোড়ানোর জন্য আগুন জ্বালানোর ঘটনা কমেছে যথাক্রমে ৪০% ও ২৩%। গত বছরেও যেখানে ১ থেকে ১১ নভেম্বরের মধ্যে ফসলের অবশেষ পোড়ানোর ঘটনা ঘটতে দেখা গেছিল ১৩১২৮ টি, সেখানে এ বছর ওই একই সময়কালে ফসল পোড়ানোর ঘটনা নজরে এসেছে মাত্র ২৫৮৭ টি। পুনের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ট্রপিকাল মেটিরিওলজির হিসাবে চলতি বছরের ১৯ অক্টোবর দিল্লি শহরের বাতাসের গুণগত মানের সূচক বৃদ্ধিতে খড় পোড়ানো ধোঁয়ার অবদান ছিল মাত্র ১.৩%। কৃষিজমির ফসল পোড়ানো ধোঁয়ার অবদান যতটুকুই হোক না কেন, সরকারের সদিচ্ছা থাকলে অবশ্য শুধু কৃষকদের ঘাড়ে দায় না চাপিয়ে সেটুকুরও বিহিত করা সম্ভব। প্রখ্যাত কৃষিবিজ্ঞানী প্রয়াত এম এস স্বামীনাথন এক সময় প্রস্তাব দিয়েছিলেন পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশের মতো রাজ্যগুলিতে ‘রাইস বায়ো পার্ক' প্রতিষ্ঠা ক'রে ফসলের অবশিষ্টাংশ থেকে কার্ডবোর্ড, কাগজ, পশুখাদ্যের মত ব্যবহারিক মূল্যযুক্ত নানা জিনিস তৈরি ক'রে বাজারজাত করার উদ্যোগ নেওয়া হোক। এজন্য ভরতুকি দিক সরকার। কিন্তু কে শোনে কার কথা!
কৃষিজমির ফসল পোড়ানো ধোঁয়ার তুলনায় দিল্লির বায়ুদূষণের জন্য ঢের বেশি দায়ি পরিবহণ ক্ষেত্র। দেখা গেছে শহরের বায়ুদূষণের ১৪% দায় জীবাশ্ম জ্বালানি চালিত যানবাহন নির্গত প্রদূষক গ্যাস ও কণা সমূহ। নির্মাণকাজের জন্য যে সব ভাসমান প্রদূষক কণা বাতাসে মেশে বায়ুদূষণে তাদের দায় অন্তত ২%। বাকি ৩২-৪৪% বায়ুদূষণের কারণ সঠিকভাবে চিহ্নিত করা সত্যিই বেশ মুশকিল। এতদ্ঞ্চলের ভৌগোলিক অবস্থান ও আবহাওয়ার কারণেও বহুলাংশে বৃদ্ধি পায় বায়ুদূষণের সমস্যা। ফলে দিল্লি সহ এই সব এলাকায় শীত পড়ার সঙ্গে সঙ্গে দূষণ বেড়ে যায় বহুগুণ।
গত ১৮ নভেম্বর মহামান্য সর্বোচ্চ আদালত দিল্লির সরকারকে বায়ুদূষণ প্রতিরোধে সর্বোচ্চ বা চতুর্থ স্তরের প্রতিক্রিয়া পরিকল্পনা (গ্রেডেড রেসপন্স অ্যা কশন প্ল্যান -৪) গ্রহণে ঢিলেমির জন্য কঠোর সমালোচনা করার পরেই স্কুল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। সেইসঙ্গে দিল্লির রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় সরকারকেও এ বিষয়ে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানায়। কিন্তু প্রশ্ন হলো বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার কি পরিবেশ দূষণ বা জলবায়ু পরিবর্তনের মতো গভীর বিষয়গুলো নিয়ে আদৌ চিন্তিত! যে সরকার কর্পোরেট স্বার্থ রক্ষাকে পাখির চোখ ক'রে ক্রমাগত অরণ্য সংরক্ষণই হোক বা শিল্প স্থাপনের পূর্বে পারিবেশিক অভিঘাত মূল্যায়নই হোক— পরিবেশ সুরক্ষার যাবতীয় আইনকে লঘু ক'রে চলেছে, সেই সরকারের কাছে বায়ুদূষণ রোধে স্থায়ী ও কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ আশা করাটাই বোধহয় অন্যায়। ফলে দূষণের নাগপাশে দমবন্ধ হয়ে আয়ুক্ষয়ই বোধহয় ভবিতব্য। মনে রাখা ভালো বায়ুদূষণের কারণে শুধু দিল্লিতেই প্রতি বছর গড়ে ১২০০০ মানুষের মৃত্যু ঘটছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আজ থেকে বছর ১০-১২ আগে চীনের রাজধানী বেজিঙের হালও ছিল ঠিক আজকের দিল্লির মতই। অথচ এ বছর ১৯ নভেম্বর দিল্লির বাতাসের মানের সূচক যখন পৌঁছে গেছিল ৭৫০-এ, তখন ওই একই দিনে বেজিঙের বাতাসের মানের সূচক ছিল মাত্র ১৩৭। আমেরিকার প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক কেইল চ্যান দেখিয়েছেন ২০১৩ থেকে ধারাবাহিকভাবে বেজিঙের বাতাসের গুণগত মানের কেমন ক্রমোন্নতি ঘটেছে আর অন্যদিকে দিল্লির বাতাসের মান প্রতি বছর উত্তরোত্তর কেবলই নেমেছে। ২০১৩ তে টানা দু'সপ্তাহ জুড়ে ভয়ঙ্কর দূষণে আচ্ছন্ন থাকতে দেখা গেছিল বেজিঙের আকাশ। তারা সর্বাত্মক যুদ্ধ ঘোষণা করেন দূষণের বিরুদ্ধে। বায়ুদূষণ মোকাবিলায় ১০০ বিলিয়ন ডলারের একটি তহবিল গড়ে তুলে কাজে নেমে পড়ে সে দেশের সরকার। দ্রুততার সঙ্গে গ্রহণ করে কার্যকরী জাতীয় বায়ুদূষন প্রতিরোধ ব্যবস্থাপণার পরিকল্পনা। সেই পরিকল্পনা মোতাবেক বেজিঙের দূষণ অন্তত ২৫% কমানোর নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে চীন সরকার একাধিক কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করে। যেমন দ্রুত বন্ধ করে দেওয়া হয় ১০০ টি দূষণ সৃষ্টিকারী কারখানা, মানোন্নয়ন ঘটানো হয় বাকি কারখানাগুলির, দূষণ রোধে কড়া আইন প্রণয়ন ও সেই আইন কার্যকর করার উদ্যোগ গৃহীত হয়, ২ কোটি পুরানো যানবাহন বাতিল করে দেওয়া হয়, কলকারখানায় ব্যবহৃত ২ লক্ষ বয়লারের মানোন্নয়ন ঘটানো হয়, শহরের ৬০ লক্ষ বাড়ির জন্য প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ উৎপাদনে কয়লার বদলে শুরু হয় প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবহার। আর এভাবেই এককালে ভয়ঙ্কর দূষিত বেজিঙ শহর আজ নির্মল বাতাসে শান্তির শ্বাস নিচ্ছে। বিশ্বের সব থেকে বেশি পরিমাণ গ্রিন হাউজ গ্যাস (বিশ্বের মোট নির্গত গ্রিন হাউজ গ্যাসের প্রায় ৩০%) নির্গমনকারী দেশ চীনের রাজধানী যদি এই ভাবে বায়ুদূষণ রুখে দিতে পারে তবে আমরা পারি না কেন!
আমরা পারি না তার কারণ দেশের সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব। স্কুল কলেজ অফিস আদালত বন্ধ রেখে কিছু মানুষের সাময়িক রেহাই হয়তো মিলতে পারে, কিন্তু স্থায়ী সমাধান ও পথে আসবে না। তাছাড়া দিন আনি দিন খাই গরিব মেহনতি মানুষগুলোকে পেটের তাগিদে রাস্তায় যে বেরোতেই হবে। এই বিষাক্ত বাতাসেই শ্বাস নিতে হবে তাদের। তাদের তো আর ঘরে বসে থাকলে চলবে না। এই মানুষের জন্য সরকারের কাছে দাবি উঠুক দূষণ বিমা চালু করার, যাতে অন্তত দু’টো মাস তারা ঘরে বসেই ন্যূনতম মজুরিটুকু পেতে পারে। সেইসঙ্গে দূষণ রোধে সরকারকে বাধ্য করতে হবে কর্পোরেট তোষণের পথ ছেড়ে দূষণ আক্রান্ত মুমূর্ষু দেশবাসীর স্বার্থে স্থায়ী ও কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণে। আর তা সম্ভব একমাত্র দেশজোড়া তীব্র পরিবেশ আন্দোলন সংগঠিত করার মধ্যে দিয়েই।
Pollution
দূষণে দমবন্ধ দিল্লি, ভালো নেই কলকাতাও
×
Comments :0