MP Campaign Rahul

ভোটপ্রচারে ঘৃণার বিরোধিতা, সামাজিক ন্যায়ে জোর রাহুলের

জাতীয়

মধ্য প্রদেশে প্রচারে রাহুল গান্ধী।

ঘৃণা ছড়ানোর রাজনীতি আর সামাজিক ন্যায়। মধ্য প্রদেশে ভোটের প্রচারে এই দুই বিষয়কে হাতিয়ার করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। 

বৃহস্পতিবার মধ্য প্রদেশের একাধিক জায়গায় জনসভা করেন রাহুল। জনতার সঙ্গে প্রশ্নোত্তরের ভঙ্গিতে করেছেন বক্তৃতা।

রাহুল বলেছেন, ‘‘দেশের সমাজের সবচেয়ে বড় ক্ষতি করে হিংসা আর ঘৃণা। পরিবারের মধ্যে বিভেদ থাকলে এগনো যায় কি? তেমনই দেশে নিজেদের মধ্যে বিভেদ আর ঘৃণা থাকলে এগনো যায় না।’’

গান্ধী তুলেছেন সামাজিক ন্যায়ের প্রসঙ্গ। জাতভিত্তিক জনগণনার দাবিতে সারা দেশেই সরব বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক মঞ্চ ‘ইন্ডিয়া’। রাহুল বলেছেন, ‘‘জাতভিত্তিক জনগণনাই সমাধান নয়। জাতভিত্তিক গণনা একি শুরু। সমাজে কে কোথায় রয়েছেন বুঝে নেওয়া। আসল কথা হলো সামাজিক ন্যায়। মধ্য প্রদেশে সামাজিক ন্যায়ের পথে চলবে কংগ্রেসের সরকার।’’

রাজ্যে আসীন বিজেপি সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং সামাজিক ন্যায় নিয়ে বারবারই প্রশ্নের মুখে পড়েছেন। বিজেপি নেতাদের হাতে নির্যাতিত হয়েছেন আদিবাসী, দলিতরা। নির্যাতিতা দলিত কন্যা রক্তাক্ত অবস্থায় সহায়তা চেয়েও পাননি। তুমুল ক্ষোভ রয়েছে সমাজে। 

মধ্য প্রদেশেই আবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, ‘‘কংগ্রেসকে একশো বছর সরকার থেকে দূরে রাখতে হবে। দেশের অগ্রগতিকে পিছনে চালাতে ওস্তাদ কংগ্রেস।’’

বিজেপি’র জনসভায় তিনি বলেছেন, ‘‘কংগ্রেস রিভার্স গিয়ারে গাড়ি চালায়। ভালো প্রশাসনকে খারাপ করে দিতে পারে।’’ 

গান্ধী পালটা বলেছেন, ‘‘অগ্রগতি মানে সাধারণ জনতার ক্ষমতা বাড়ানো। বিজেপি জিএসটি বসিয়ে গরিব, নিম্নবিত্ত মানুষের থেকেই বিপুল টাকা কোষাগারে জমা করে। আরেকদিকে বড় একচেটিয়া শিল্পপতিদের বিপুল ঋণ দেয় এই সরকারই। সাধারণ জনতার পক্ষে বিজেপি ভালো কিছু করতে পারে না।’’ 

রাহুল বলেছেন, ‘‘মূল্যবৃদ্ধি আর বেকারির সংকট সবচেয়ে বেশি দলিত, আদিবাসী এবং অন্য অনগ্রসর অংশের মধ্যে।’’ তিনি বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নিজেকে ওবিসি বলে পরিচয় দেন। আর কেন্দ্রের ৯০ জন শীর্ষ আধিকারিকের মধ্যে মাত্র ৩ জন ওবিসি। কেন? এই দৃষ্টিভঙ্গির জন্যই বিজেপি জাতভিত্তিক জনগণনার বিরোধী।’’   

Comments :0

Login to leave a comment