Champions League

বড় ব্যবধানে জয় রিয়াল মাদ্রিদের, নক-আউটে ম্যান সিটি

খেলা

Champions Leagues

রিয়াল মাদ্রিদ দল কতটা শক্তিশালী চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্যায়ের শেষ ম্যাচে তারা আরও একবার প্রমাণ দিয়েছে। স্কটিশ ক্লাব সেল্টিকের বিরুদ্ধে পাঁচ-পাঁচটি গোল করেছে কার্লো আন্সেলোত্তির ছেলেরা। শুধু তাই নয় ! স্কোরশিটের খাতায় ভিন্ন ভিন্ন খেলোয়াড়ের নাম। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের মাঝমাঠ থেকে আক্রমণভাগের মেলবন্ধন বিপক্ষ দল সেল্টিকের রক্ষণভাগকে তাসের ঘরের মত ভেঙে দিয়েছে। রিয়াল দলের মাঝমাঠের অন্যতম স্তম্ভ লুকা মদ্রিচ যতক্ষণ মাঠে ছিলেন ! খেলাটিকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে চালিয়েছেন তিনি।
ম্যাচে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সবচেয়ে সফলতম দল রিয়াল মাদ্রিদ ৫- ১ গোলের বড় ব্যবধানে এঞ্জেল পোস্তেকোগলুর সেল্টিক এফসিকে পরাজিত করেছে।
ম্যাচ শুরুর সবে মাত্র প্রথমার্ধের মিনিট পাঁচেক গড়িয়েছে নিজেদের ডি-বক্সে সেল্টিক দলের সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার মরিটজ জেঞ্জ হাতে বল লাগিয়ে ফেলে। পেনাল্টির নির্দেশ দেয় ম্যাচ রেফারি রিয়ালের পক্ষে। স্পট-কিক থেকে দলের ক্রোয়েশিয়ান ম্যাজিশিয়ান মিডফিল্ডার লুকা মদ্রিচ নিজস্ব নিপুণতা দেখিয়ে স্কোর লাইন ১-০ করেছেন। এরপর আবারও ১৯ মিনিটের মাথায় ভিনিসিয়াস জুনিয়রা পেনাল্টি পায়। পেনাল্টি আদায় করার কারিগরটি ছেলেন ব্রাজিলিয়ান রড্রিগো। এবং তাঁর নিখুঁত স্পট-কিকের সৌজন্যে গোল সংখ্যা দ্বিগুন হয়। এছাড়া প্রথমার্ধে আরও বেশি কয়েকটা সহজ সুযোগ এসে গিয়েছিল গোল করার জন্য স্প্যানিশ জায়ান্টদের সামনে। কিন্তু ভিনিসিয়াস জুনিয়ররা এমন ভাবে সেই গুলো হেলায় হারিয়েছেন ! তাঁরা নিজেরাও নিজেদের প্রতি বিশ্বাস করতে পারেনি যে ওই যায়গা থেকে ওইরকম সহজতম গোলের সুযোগ মিস করতে পারেন। তবে প্রথমার্ধের ৩৩ মিনিটের মাথায় একটা পেনাল্টি মিস করে বসে সেল্টিক দল। স্পট-কিকটি অসাধারণ দক্ষতায় সেভ রাখেন রিয়াল গোলরক্ষক কুর্তোয়া।  
খেলার দ্বিতীয়ার্ধে কার্লো আন্সেলোত্তির ছেলেরা পুরো প্রথমার্ধের রিপ্লে দেখিয়েছেন। ৫১ মিনিটের মাথায় রিয়াল দলের রাইট ফুল ব্যাক ড্যানি কার্ভাহালের চোখ ধাঁধানো অ্যাসিস্টে মার্কো অ্যাসেন্সিওয়ের বাঁ-পায়ের পায়ের শৈল্পিক টাচে স্কোর লাইন আরও দীর্ঘায়িত হয়। ৬১ মিনিটের মাথায় ফেডেরিক ভালভার্দের সঠিক নিশানার পাস এবার আর গোলের খাতায় নাম তুলতে ভুল করেনি রোনাল্ডো নাজারিও, সোক্রেটিসদের দেশের চনমনে ভিনিসিয়াস। ৭১ মিনিটের মাথায় সারা ম্যাচে দাপিয়ে ফুটবল খেলে আসা রিয়াল দলের উরুগুয়ান মিডফিল্ডার ভালভার্দের অসাধারণ ফিনিশে সেল্টিক এফসির কফিনে শেষ পেরেকটি পুঁতে যায়। গোল করার পাসটি বাড়িয়েছেন লুকাস ভাসকুয়েস। ম্যাচের ৮৪ মিনিটের মাথায় একটি গোল অবশ্য পরিশোধ করে দেয় সেল্টিক ফরোয়ার্ড জোটা। কিন্তু বড্ডো বেশি দেরি হয়ে যায়।

এই জয়ের ফলে রিয়াল মাদ্রিদ গ্রুপ-পর্যায়ের ৬ ম্যাচের মধ্যে ৪টিতে জয় তুলে নিয়ে শীর্ষস্থানে থেকেই প্রতিযোগিতার শেষ ষোলোর ছাড়পত্র আদায় করল।
আবার, পেপ গুয়ার্দিওলার ম্যাঞ্চেস্টার সিটি জর্জ সাম্পাওলির সেভিয়ার বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রভাব রেখেই গ্রুপের শেষ ম্যাচ ৩-১ গোলের ব্যবধানে জয়লাভ করেছে। জয়ী দল ম্যান সিটির হয়ে ম্যাচে জয়সূচক গোল গুলি করেছেন রাইট ফুল ব্যাক রিচো লুইস, সেন্ট্রাল ফরোয়ার্ড জুলিয়ান আলভারেস, আক্রমণ ভাগের খেলোয়াড় রিয়াদ মাহরেজ। পরাজিত দল সেভিয়ার হয়ে একটি মাত্র গোল আক্রমণ ভাগের খেলোয়াড় রাফা মীরের। 
এই জয়ের ফলে ম্যাঞ্চেস্টার সিটি গ্রুপ-জি’র শীর্ষস্থানে থেকেই নক আউট পর্বে পৌঁছালো।
অন্যদিকে, শাখতার দোনেৎস্কোকে ৪-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে আরবি লিপজিগ। ম্যাচে ইউক্রেনের দলটি বল দখলের লড়াইয়ে জার্মানির দলটির বিরুদ্ধে প্রায় সেয়ানে সেয়ানে টক্কর চালালেও গোল লক্ষ্য বরাবর শট নিয়েছে ও জাল কাঁপিয়েছে আরবি লিপজিগ। ম্যাচে চার-চারটি গোল করেছে মার্কো রোষের ছেলেরা। যার মধ্যে প্রথমার্ধে ১টি গোল আসে। আর বাকি ৩টি দ্বিতীয়ার্ধে। জার্মান ক্লাবটির হয়ে গোল গুলি করেছেন ক্রিস্টোফার কুঙ্কু, আন্দ্রে সিলভা, ডমিনিক সোবোসজলাই। বাকি একটি গোল আত্মঘাতী বিপক্ষ ডিফেন্ডার ভ্যালেরি বন্ডারের ভুলের বদান্যতায়।
এই ম্যাচে জয় পেয়েও আরবি লিপজিগ এফসি নিজেদের গ্রুপের দ্বিতীয় হয়ে পরের রাউন্ডে প্রবেশ করল। গ্রুপ পর্যায়ে তাদের সংগৃহীত পয়েন্ট ৬ ম্যাচ খেলে ১২।              
 

Comments :0

Login to leave a comment