JALPAIGURI PANCHAYAT

জয়ের পর মিছিল জলপাইগুড়িতে, হারলেই ‘রিকাউন্টিং’ দাবি তৃণমূলের

জেলা

জয়ের পর জলপাইগুড়িতে মিছিল।

বামফ্রন্ট প্রার্থীরা জয়ী হলেই ‘রিকাউন্টিং’। জলপাইগুড়ি সদর ব্লকে পলিটেকনিক কলেজে গণনা কেন্দ্রে এমনই চাপ তৈরি করেছে তৃণমূল।

পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যজুড়েই এমন ছবি। কলকাতার কাছে আশুতি থেকে ভাঙড় বা জলপাইগুড়ি, মানুষের রায় উলটে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। 

জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের কাউন্টিং সেন্টার পলিটেকনিক কলেজে বামপন্থীরা সহ অন্যান্য বিরোধী দলের প্রার্থীরা জয়যুক্ত হয়েছিল সেই সমস্ত আসন বারবার রি-কাউন্টিং করার দাবিতে সদর ভিডিওর উপর চাপ সৃষ্টি করেন তৃণমূল নেতা কৃষ্ণ দাস। তিনি সোজা কাউন্টিং হলের দিকে প্রবেশের চেষ্টা করেন। সে সময় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা তাকে বাধা দিলে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়। তিনি রাস্তা অবরোধের হুমকি দেন। শেষমেশ অ্যাডিশনাল এসপি’র দাবি পত্র তুলে দেন। 

নির্বাচন কমিশন থেকে প্রকাশিত শেষ আপডেট অনুযায়ী জেলায় মোট ৮০টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৭০১টি গ্রাম পঞ্চায়েত আসনের  মধ্যে এখন পর্যন্ত টি তৃনমুল প্রার্থী ৯৭০টি আসনে জয়ীবিজেপি ৪৪২ জন প্রার্থী জয়ী৭৪টি আসনে বামফ্রন্টের প্রার্থীরা জয়যুক্ত হয়েছেন। যার মধ্যে সিপিআই(এম) ৬৫টি ও সারা ভারত ফরোয়ার্ড ব্লক ৫ ও ৩ টি আসনে সিপিআই প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। জাতীয় কংগ্রেস ১০টি এবং ২৫টি আসনে নির্দল প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। 

পঞ্চায়েত সমিতির ২৩৮টি আসনের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস ১৯২টিবিজেপি ৪২টি ও বামফ্রন্ট তথা সিপিআই(এম) প্রার্থীরা ৪ টি আসনে জয় যুক্ত হয়েছেন। জেলা পরিষদের মোট ২৪টি আসনের মধ্যে ২৪ টিতেই জয়ী হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।

গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্বাচনী ফলাফল সামনে আসতেই জলপাইগুড়ি পলিটেকনিক কলেজের কাউন্টিং সেন্টারের সামনে তৈরি টেন্ট থেকে থেকে জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের খড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর সুকান্ত নগর আসন জয়ের পর সিপিআই(এম) কর্মী সমর্থক দরদিরা মিছিল করে তাঁদের এলাকায় ফিরে যান। মুখে লাল আবির মেখে লাল ঝান্ডা উড়িয়ে শুরু হয় প্রত্যয়ী মিছিল। তিস্তা নদীর পাড়ের জলপাইগুড়ি শহরের লাগোয়া খড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত উত্তর সুকান্তনগর আসনের সিপিআই(এম) জয়ী প্রার্থী গোসাই সরকার জানান নির্বাচনে মানুষ বামপন্থীদের জয়যুক্ত করেছে আমাদের দায়িত্ব আরো অনেক বেড়ে গেল এলাকায় গরিব মানুষের বাস গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে তাদের জন্য লড়াই করে এলাকার উন্নয়নের জন্য কাজ আদায় করাই হবে আমাদের প্রধান কাজ। 

হাড্ডাহাড্ডি দুই তরুণের লড়াই দেখল মালবাজার এলাকার তেশিমিলা মাল পঞ্চায়েত সমিতির ১৩নম্বর আসনে মানুষ। নির্বাচনে নির্ঘণ্ট ঘোষণা হবার পর থেকেই এই আসনটি ছিল সকলেরই নজরে। একদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের সংখ্যালঘু সেলের মাল ব্লক সভাপতি রাকেশ হক। অপরদিকে সিপিআই(এম) প্রার্থী সুশীল রায়। তেশিমলা গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৩ নম্বর আসনের অন্তর্গত গ্রাম পঞ্চায়েতের তিনটি আসনে জয় ছিনিয়ে এনেছে সিপিআই(এম)র প্রার্থীরা। আর এবার পঞ্চায়েত সমিতির এই আসনেই জয় ছিনিয়ে নিল সিপিআই(এম) এর এই তরুণ প্রার্থী। সুশীল রায় বলেনএই জয় গ্রামের মানুষের জয়। দায়িত্ব আরো বৃদ্ধি পেল কাজ করতে হবে। 

দক্ষিণ ২৪ পরগনার আশুতি ২ গ্রাম পঞ্চায়েত ৫০ ও ৫১ নম্বর বুথ ৩৪ ও ১০০ ভোটে জয়ী হয় সিপিআই(এম)। তৃণমূল জোর করে পুনর্গণনা করায়। সিপিআই(এম)’র এজেন্টদের বার করে দেওয়া হয়। সিপিআই(এম)’র অভিযোগ, এরপর তৃণমূলকে জয়ী ঘোষণা করে দেওয়া হয়। এলাকায় রয়েছে ক্ষোভ। 

Comments :0

Login to leave a comment