এবার পুজোয় চলবে ট্রাম। ঐতিহ্যবাহী ট্রামে চেপে কলকাতার পুজো দেখতে অনেকেই চান। বয়স্ক মানুষদের মধ্যে এই চাহিদাটা বেশি। কেননা তাঁরা পুজোর ভিড়ে চলতে পারেন না। কিন্তু পুজোর সময় বাড়তি ভিড়ের কারণে ট্রাম পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়। তাই সেই শখ আর পূরণ করা যায় না।
পুজোতে বিগত ১০ বছর ট্রাম বন্ধ ছিল। কিন্তু এবার ট্রাম চালানো হবে দুর্গোৎসবে। রাজ্য পরিবহণ দপ্তর সূত্রে এমনটা জানানো হয়েছে। আর এই সিদ্ধান্তের জেরে ট্রামে ঘুরে শহরের বিভিন্ন মণ্ডপের পুজো দেখা যাবে। ট্রামে সফলের পাশাপাশি থাকছে খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন।
জানা গেছে, এবার পুজোয় দুটি রুটে ট্রাম চালানোর কথা ভাবা হচ্ছে। একটি এসপ্ল্যানেড–শ্যামবাজার এবং অন্য এসপ্ল্যানেড–গড়িয়াহাট–এসপ্ল্যানেড। সপ্তমী থেকে নবমীর রাত ১০টা পর্যন্ত দুই রুটে ট্রাম চলবে। পুজোয় চালানো সব ট্রামই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। দর্শনার্থীরা যাতে নির্বিঘ্নে পুজো উপভোগ করতে পারে সে কারণেই এই বিশেষ উদ্যোগ পরিবহণ দপ্তরের। পুজোর সময় ঘুরতে থাকা ট্রামগুলোকে সুন্দরভাবে সাজানো থাকবে।
থাকবে বড় বড় জানালা। তার মধ্য দিয়ে যাত্রীরা বাইরের দৃশ্য ভালোই দেখতে পারবেন। মন চাইলে তুলতে পারবেন ছবিও। ট্রামের যাত্রা সময়কালে ভিতর ঢাকের বাজনা শোনা যাবে। রাস্তার ভিড় এড়িয়ে পুজো দেখতে অনেক বিদেশি ট্রামকে বেছে নিতে পারেন বলে মনে করছে পরিবহণ দপ্তর। আর তাঁদের কথা মাথায় রেখে বিশেষ গাইডের বন্দোবস্ত রাখা হচ্ছে। গাইড ইংরেজি ভাষায় চলতি ট্রামের ভিতর থেকে যাত্রীদের দর্শনীয় মণ্ডপ সম্পর্কে সব তথ্য দিয়ে চলবেন।
পরিবহণ দপ্তর জানাচ্ছে, কলকাতার ট্রামে চড়ে শহরের বেশ কয়েকটি বড় পুজো দেখা যাবে। এর মধ্যে থাকছে নলিনী সরকার স্ট্রিট, একডালিয়া, সিংঘি পার্কের পুজো। হাতিবাগান এবং কাশী বোস লেনের পুজো। ট্রামে যাত্রীদের জন্য চা এবং স্ন্যাকসের মতো খাবারের ব্যবস্থা থাকছে। দেওয়া হবে পানীয় জল। পর্যটকদের যাত্রাকে আরামদায়ক করতে এসব উদ্যোগ।
পুজোর সময় ট্রামের ভাড়া ধার্য করা হয়েছে ৬০০ টাকা। আগাম নিজের আসন বুকিং করতে অনলাইনের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। www.wbtconline.in ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইন বুকিং করলেই আসন পাকা হয়ে যাবে। এর পাশাপাশি ট্রামের সাহায্যে বেলুড় মঠ, শোভাবাজার রাজবাড়ির পুজো, বেহালার রায় বাড়ি পুজোও দেখা যাবে। খাওয়াদাওয়া নিয়ে সেই যাত্রায় খরচ পড়বে ১৯০০ টাকা।
Comments :0