১২ নম্বর জাতীয় সড়কে কর্তব্যরত এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে মারধরের অভিযোগে তৃণমূলের কাউন্সিলর সহ ৪ জনকে আটক করল পুলিশ। অভিযোগ, নদীয়ার রানাঘাট থানার বেগোপাড়ার কাছে ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে দলবল নিয়ে শাসানি দেন কাউন্সিলর লক্ষ্মী ওঁরাও। মারধরও করেন।  

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কল্যাণী থেকে ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে রানাঘাটের দিকে একটি চার চাকার গাড়ি যাচ্ছিল। সেই সময় বেগোপড়ার কাছে কর্তব্যরত এক সিভিক ভলান্টিয়ার যান নিয়ন্ত্রণের জন্য গাড়িটিকে থামান। ওই গাড়িতে ছিলেন কল্যাণী পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর লক্ষ্মী ওঁরাও, তৃণমূল কংগ্রেসের রানাঘাট সাংগঠনিক জেলা কমিটির সদস্য রঞ্জিত দাস সহ চারজন। 

দাঁড় করানোর পর গাড়ি থেকে নেমে ওই সিভিক ভলেন্টিয়ারকে প্রথমে শাসানি এবং পরে ধাক্কা ধাক্কি দিতে থাকেন কাউন্সিলর লক্ষ্মী ওঁরাও সহ বাকিরা। কিছু সময়ের মধ্যে স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়ে যান। বেগতিক বুঝে গাড়ি নিয়ে চলে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোকজনই গাড়িটিকে আটকায়। রানাঘাট থানায় খবর পৌঁছালে পুলিশ ওই চারজনকে গ্রেপ্তার করে।

যদিও কাউন্সিলর লক্ষ্মী ওঁরাওয়ের সাফাই, ওই সিভিক ভলান্টিয়ার প্রথমে তাঁদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছে। এছাড়া ভলান্টিয়ারকে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি। ধৃতদের রানাঘাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়।