ISRAEL USA

ইজরায়েলী সেনার শক্তিতে সন্দিহান আমেরিকাও

আন্তর্জাতিক

ইজরায়েলের সামরিক বাহিনী এখনও গাজার মাটিতে ঢুকে পড়ার মতো তৈরি নয়। ইজরায়েলের প্রধান মদতদাতা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেরই এমন সন্দেহ রয়েছে। 

‘টাইমস অব ইজরায়েল’-র প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে যে সে দেশের বিদেশমন্ত্রী ইয়োয়াভ গ্যালান্টকে এই মর্মে বার্তা দিয়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন। সোমবারই ইজরায়েল জানিয়েছিল যে ‘সীমিত মাত্রায় স্থলযুদ্ধ শুরু হয়েছে গাজায়’।

প্যালেস্তাইনের বিভিন্ন সূত্র দাবি করেছে যে মাটিতে ট্যাঙ্ক বা সেনা সরঞ্জাম পাঠিয়ে সুবিধা করতে পারেনি ইজরায়েল। হামাস পালটা আঘাত হেনেছে। হামাসের শক্তি এখনও কতটা রয়েছে তা আঁচ করতে পারছে না আমেরিকাও। 

মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেনের প্রশাসন মনে করছে এই যুদ্ধে সামরিক লক্ষ্য কী তা ঠিক করতে উঠতে পারেনি ইজরায়েল। গাজার মাটিতে ঢুকে পড়ে পুরোপরি দখল নেওয়া যদি লক্ষ্য হয়, তবে তার জন্য প্রস্তুত নয় ইজরায়েলের সেনা আইডিএফ। এই মর্মে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আমেরিকার সংবাদ প্রতিষ্ঠান ‘দ্যা নিউ ইয়র্ক টাইমস’-ও। 

এবিসি’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রতিরক্ষা সচিব অস্টিন বলেছেন, ‘‘শহরের মাটিতে মুখোমুখি লড়াই অত্যন্ত কঠিন। এই লড়াইয়ে অনেক সময় লাগে। এমনকি ইরাকের মোসুল থেকে আইসিস-কে হটাতে যতটা বেগ পেতে হয়েছিল, তার চেয়ে বেশি কঠিন হতে পারে গাজার স্থলযুদ্ধে ইজরায়েলের জয়।’’ 

মার্কিন আধিকারিক স্তরের সূত্রের উল্লেখ করে ইজরায়েলের সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, হামাসের সঙ্গে লড়াইয়ে আচমকা সীমান্তের ওপার থেকে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ কৌশল ব্যবহার করা যেতে পারে। আমেরিকার দাবি আইসিস-কে হটাতে ইরাকি সেনা এবং কুর্দ যোদ্ধাদের সঙ্গে সমন্বয়ে এমন কৌশল নেওয়া হয়েছিল। 

সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন অংশ যদিও মনে করিয়েছে যে ইরাকে আমেরিকার দখলদারি দেশজুড়ে নৈরাজ্যই ডেকে এনেছিল। চরম পর্বে আমেরিকার সেনা বেপাত্তা হয়ে গিয়েছিল। আইসিসের বিরুদ্ধে ইরাক এবং আরব ভূখণ্ডের বাহিনীই লড়াই করেছে।    

Comments :0

Login to leave a comment