HOSPITAL BOMBING MEDVEDEV

হাসপাতালে হামলায় আমেরিকাকে দায়ী করলেন মেদভেদেভ

আন্তর্জাতিক

HOSPITAL BOMBING MEDVEDEV গাজার আল আহলি হাসপাতালে মৃতদেহের সারি।

প্যালেস্তাইনের হাসপাতালে বিমান হানার জন্য সম্পূর্ণ ভাবে দায়ী আমেরিকা। হামাস-ইজরায়েল সংঘর্ষের জেরে মঙ্গলবার গাজার একটি হাসপাতালে বিমান হানা চালিয়েছে ইজরায়েল। সেই প্রেক্ষিতে বুধবার এমন অভিযোগ করলেন রাশিয়ার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি দিমিত্রি মেদভেদেভ। 

মঙ্গলবার গাজা ভূখণ্ডের আল-আহলি আরব হাসপাতালে বিমান হানা চালিয়েছে ইজরায়েলের বায়ুসেনা। গাজার স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে খবর, ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ৫০০। আহতের সংখ্যা আটশো ছাড়িয়েছে। 

যদিও ঘটনার দায় অস্বীকার করে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘‘এই হামলা আমরা করিনি। হামাসের রকেট দিক ভুল করে হাসপাতালে পড়েছে।’’

এই গণহত্যার প্রতিবাদে সোশ্যাল মিডিয়া টেলিগ্রামে সরব হয়েছেন মেডভেদেভ। নিজের চ্যানেলে তিনি লিখেছেন, ‘‘এটি জঘন্য একটি ঘটনা। নিঃসন্দেহে এটি যুদ্ধাপরাধ। এর সম্পূর্ণ দায় সেই সমস্ত সংস্থা এবং ব্যক্তির, যাঁরা ঠান্ডা মাথায় যুদ্ধকে ব্যবহার করে মুনাফা করেন। এই ঘটনার জন্য দায়ী তাঁরা, যাঁরা নিজেদের সামরিক-শিল্পক্ষেত্রকে বাঁচিয়ে রাখতে বিশ্বজুড়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ লগ্নি করেন, এবং গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে বাঁচানোর নামে দেশে দেশে যুদ্ধ আমদানি করেন। এই ঘটনার দায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের।’’

ইজরায়েলের বিমান হানার ব্যপক প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে বিভিন্ন দেশে। জর্ডানের ইজরায়েলী দূতাবাসে ঢুকে পড়ে উত্তেজিত জনতা। তুরস্ক, টিউনিশিয়া এবং লেবাননে পশ্চিমী রাষ্ট্রগুলির দূতাবাসে বিক্ষোভ দেখান সাধারণ মানুষ। পরিস্থিতির চাপে রাষ্ট্রসঙ্ঘের সেক্রেটারি জেনারেল অ্যান্টোনিও গুটেরেসকেও বলতে হয়েছে, ‘‘আমি গোটা পরিস্থিতি দেখে আতঙ্কিত।’’

আন্তর্জাতিক চাপের মুখে দাঁড়িয়ে, ইজরায়েলের অপরাধকে আড়াল করা সম্ভব নয় বুঝছে আমেরিকাও। তাই আমেরিকার ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের চেয়ারপার্সন জন কার্বি ইঙ্গিত দিয়েছেন, নেতানিয়াহুর সঙ্গে হতে চলা বৈঠকে বেশ কিছু কড়াপ্রশ্ন করবেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন।

Comments :0

Login to leave a comment