তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপি ধর্মের ভিত্তিতে মানুষকে ভাগ করে দিতে চাইছে। মানুষের প্রতিদিনের সমস্যাকে আড়াল করতে চাইছে। আসল সমস্যা হলো পেট্রোল ডিজেল কেরোসিনের দাম বাড়ছে। মোদী সরকারের ‘আচ্ছে দিনের’ সুবাদে রান্নার গ্যাসের দাম বারোশো টাকা ছুঁতে চলেছে। শাকসবজি সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সমস্ত কিছুর দাম বেড়ে চলেছে। জিনিসপত্রের দাম আকাশ ছোঁয়া। মূল্যবৃদ্ধি, বেকারি এবং তার সঙ্গে মানুষের সম্পদ লুট হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে লড়াই করছে বামপন্থীরা। পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল এবং বিজেপি, এই দুই শক্তিকেই পরাজিত করার ডাক দিয়েছে।
ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থীদের সমর্থনে গোলাপগঞ্জ হাটখোলায় জনসভায় এ কথা বলেন এসএফআই নেত্রী দীপ্সিতা ধর। শনিবার মালদহের কালিয়াচক-৩ ব্লকে সিপিআই(এম) প্রার্থীদের সমর্থনে তিনটি জায়গায় বক্তব্য রাখেন দীপ্সিতা ধর। প্রথমে গোলাপগঞ্জ হাটখোলা, পরে জয়েনপুর বাজার ও পরে বৈষ্ণবনগর বাজারে সভা হয়।
তিনি বলেন, ‘‘ধর্মের নামে বিভাজনের রাজনীতি করা দুই দল তৃণমূল ও বিজেপিকে পরাজিত করা দরকার। এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বামপন্থীদের নির্বাচিত করে এই দুই দলকে উচিত শিক্ষা দিতে হবে। মইদুল ইসলাম মিদ্যা, আনিস খানকে খুন করে রাজ্যে সন্ত্রাস কায়েম করে তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার বামপন্থী আন্দোলনকে স্তব্ধ করতে চাইছে। কিন্তু হুমকি দিয়ে সন্ত্রাস কায়েম করে বামপন্থী আন্দোলনকে স্তব্ধ করা যাবে না।’’
এসএফআই’র সর্বভারতীয় স্তরের এই নেত্রী বলেন, ‘‘তৃণমূল পঞ্চায়েতে পঞ্চায়েতে লুট করছে, চুরি করছে, চুরির দায়ে এরা জেল খাটছে তবু এদের লজ্জা নেই। আর কয়েকটা দিন পরে এরা ঘরে ঢুকে যাবে। মানুষ তাদের পাশে নেই। আর বিজেপির কাজই হলো সাম্প্রদায়িক বিভাজন করা। বিজেপি প্রতিশ্রুতি দিলেও বছরে দু’কোটি বেকারের চাকরি দিতে পারেনি, আদানি আম্বানিদের হাতে দেশকে তুলে দিচ্ছে।’’
ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই দুই ভয়ঙ্কর শক্তিকে পরাস্ত করার আহ্বান জানান তিনি। জনসভায় প্রায় তিন হাজারের মতো মানুষ উপস্থিত ছিলেন। এদিনের সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের প্রার্থী প্রিয়ব্রত মণ্ডল, বিশ্বনাথ ঘোষ, বাদেশ আলি, ধনঞ্জয় সরকার, চন্দন মন্ডল। সভাপতিত্ব করেন নাকিমুদ্দিন আহমেদ।এদিন গোলাপগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের পীরপাড়া বুথে কয়েকশো মানুষ তৃণমূল থেকে দীপ্সিতার হাতে লাল ঝান্ডা তুলে নিয়ে সিপিআই (এম)-এ যোগদান করেন।
Comments :0