BJP central team

কর্মীদের চাঙ্গা করার চেষ্টায় এলেন রবিশঙ্কর প্রসাদরা

রাজ্য

রাজ্যে এলো বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসার বিষয় খতিয়ে দেখবে তারা। এই দলের নেতৃত্ব রয়েছেন বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। কলকাতা বিমান বন্দরে এবং রাজ্য বিজেপির দপ্তরের সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘‘আক্রান্তদের সাথে কথা বলবো আমরা’’। পঞ্চায়েতে হিংসার রিপোর্ট বিজেপি’র সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কাছে জমা দেওয়া হবে। 


রাজ্যের হিংসার প্রসঙ্গকে জাতীয় স্তরে নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রসাদ। সে জন্যই দিল্লি থেকে পাঠানো হয়েছে প্রতিনিধি দল। বিধানসভার তুলনায় প্রায় ১৬ শতাংশ ভোট কমেছে বিজেপি’র। প্রবল হিংসা আর ভোটলুটের মধ্যেও বামফ্রন্ট জোটের ভোটের হার প্রায় ১০ শতাংশ বেড়েছে প্রাথমিক হিসেবে। বিজেপি কর্মীদের মনোবল রাখার চেষ্টাতেই রবিশঙ্করের এই প্রয়াস, মনে করছে রাজনৈতিক মহল। 


রবিশঙ্কর তৃণমূলকে আক্রমণ করলেন। কিন্তু সেই আক্রমণ যেন ২০০৩ সালে পঞ্চায়েতে দুজনের একসাথে লড়াই করার কথা মনে রেখে নরম ভাবে আক্রমণ করলেন। বিজেপি সাংসদ, একদা মোদী মন্ত্রীসভার সদস্য বলেন, ‘‘মমতাজী আপনি ৩৪ বছরের বামফ্রন্ট সরকারকে হারিয়েছেন, আমরা তাতে খুশি হয়েছি।’’ 


সাংবাদিক সম্মেলনে রবিশঙ্কর প্রসাদ দাবি করেছেন যে, আদালত কঠোর ছিল বলে বিজেপি গ্রাম পঞ্চায়েতে ৮ হাজারের কাছাকাছি আসন পেয়েছে। উল্লেখ্য কেন্দ্রীয় বাহিনী নির্বাচনে ব্যবহার করা হয়েছে আদালতের নির্দেশে। কিন্তু কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন, পাঠানো নিয়ে রাজ্য প্রশাসন এবং কেন্দ্রীয় সরকার টালবাহানা করেছে।
বিএসএফের এক আধিকারিক জানিয়েছেন যে বাহিনী কোন সঠিক ভাবে ব্যাবহার করা হচ্ছে না তা নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে কোন চিঠি পাঠানো হয়নি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে। 


তৃণমূলের বিরুদ্ধে এর আগে একাধিক বার বিজেপি কেন্দ্রীয় দল পাঠিয়েছে তারা রাজ্যে এসেছে, কিন্তু কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সারদা, নারদা তদন্তের কোন অগ্রগতি নেই। এই সময়কালে মানুষের কাছে প্রমান করার চেষ্টা চলেছে যে বিজেপি একমাত্র পারে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। 
এদিন রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, ‘‘ভোটের সময় এতো হিংসা কেন?’’ বিজেপি শাসিত ত্রিপুরায় ৯৩ শতাংশ আসন বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় জয়ী হয় বিজেপি।

Comments :0

Login to leave a comment