Rajasthan Congress

রাজস্থানেও কি প্রয়োগ করা হবে ‘উপ-মুখ্যমন্ত্রী ফরমুলা’, প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে

জাতীয়

ডিসেম্বর মাসে ছত্তিশগড়ে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে বুধবার টিএস সিংহ দেওকে উপ-মুখ্যমন্ত্রী করলো কংগ্রেস। কিন্তু আরও এক কংগ্রেস শাসিত রাজ্য যেখানে চলতি বছর বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে সেখানে কি এই একই পথে হাঁটবে শতাব্দী প্রাচীন রাজনৈতিক দল। রাজস্থান, যেখানে অশোক গেহলট এবং সচিন পাইলটের মধ্যে দ্বন্দ বার বার দলকে অস্বস্তিতে ফেলেছে। ভোট মুখি এই রাজ্যেও কি ‘উপ-মুখ্যমন্ত্রী ফরমুলা’ প্রয়োগ করবে কংগ্রেস। উত্তর জানা নেই। এখনও পর্যন্ত এই বিষয় দল কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি বলে জানা যাচ্ছে। তবে ছত্তিশগড় নয় সদ্য জিতে আসা কর্ণাটকেও এই একই পদ্ধতি প্রয়োগ করেছে কংগ্রেস। সিদ্দারামাইয়া না কি শিবকুমার কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন তা নিয়ে দীর্ঘ টাল বাহানার পর শিবকুমারকে উপ-মুখ্যমন্ত্রী করে সিদ্দারামাইয়াকে মুখ্যমন্ত্রী করেছে দল।


তবে রাজস্থান কংগ্রেসের সভাপতি গোবিন্দ সিংহ দোতাসরার সাথে দিল্লিতে বৈঠক করেছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং রাজস্থানে দায়িত্ব প্রাপ্ত নেতা রণদ্বীপ সিংহ সূর্যেওয়ালা। সেই বৈঠকে কি বিষয় আলোচনা হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে দেও’র মতো এখনই যে পাইলটের উপ-মুখ্যমন্ত্রী হওয়া হচ্ছে না তার আভাস কিছুটা পাওয়া গিয়েছে। তার অন্যতম কারণ অধিকাংশ বিধায়ক গেহলটের পক্ষে। তারপর বিধানসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে পথে নামেন পাইলট যার ফলে কিছুটা চাপে পড়ে কংগ্রেস। কিন্তু কর্ণাটক বিধানসভার ফল ঘোষণার পরপরই সেই পদযাত্রা তিনি বন্ধ করে দেন।


অন্যদিকে গত বছর কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনের সময় মল্লিকার্জুন খাড়গের পাশাপাশি গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ট অশোক গেহলটের নামও শোনা যায়। সেই সময় একথাও শোনা যায় যে অশোক গেহলটকে সভাপতি করা হলে মুখ্যমন্ত্রী হবেন সচিন পাইলেট। তখন দলের অধিকাংশ বিধায়ক জানিয়ে ছিলেন যে পাইলট বিধায়ক হলে তারা পদত্যাগ করবেন। তবে সেই পরিস্থিতি তৈরি হয়নি তার কারণ মল্লিকার্জুন খাড়গেকে সভাপতি পদের জন্য বেচে নেন সনিয়া গান্ধী।  


উল্লেখ্য ২০১৮’র বিধানসভা নির্বাচনের পর কে মুখ্যমনন্ত্রী হবে তা নিয়ে ভুপেশ বাঘেল এবং দেও’র মধ্যে ব্যাপক দড়ি টানা টানি চলে। হাইকমান্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মুখ্যমন্ত্রী হয় বাঘেল। তারপর ২০২১ সালের আগস্ট মাসে বিদ্রোহী হয়ে ওঠেন দেও। তিনি দাবি করেন যে দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল দুজন অর্ধেক সময় মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলাবেন। সেই সময় বাঘেল মুখ্যমন্ত্রীত্ব ছাড়তে কোন ভাবে রাজি হয়নি। তার যুক্তি ছিল যে দলের অধিকাংশ বিধায়কের সমর্থন রয়েছে। তারপর গান্ধী পরিবারের মধ্যস্থতায় বাঘেল মুখ্যমন্ত্রী থেকে যায় দেও তার অবস্থান থেকে সড়ে আসেন। 


তবে রাজনৈতিক মহলের অনেকে মনে করছেন ভোট মুখি এই রাজ্যে দেওকে উপ-মুখ্যমন্ত্রী করে কংগ্রেস লোকসভা ভোটের আগে দলের মধ্যে দ্বন্দ সামাল দেওয়া চেষ্টা করলো। এই একই পদ্ধতি রাজস্থানে প্রয়োগ হবে কি না তা সময় বলবে। তবে দলের এই সিদ্ধান্তের পর সচিন পাইলট টুইটারে  দেওকে শুভেচ্ছা জানাতে ভোলেননি।

Comments :0

Login to leave a comment