দিনভর বুথ আগলে ছিলেন এলাকার সিপিআই(এম) কর্মী সমর্থকরা। বারবার চেষ্টা করেও ব্যালট বাক্সের দখল নিতে পারেনি শাসকদলের দুষ্কৃতিরা। সেই আক্রোশে সিপিআই(এম)’র শাখা সম্পাদকের বাড়ির খড়ের গাদায় আগুন ধরিয়ে দিল তৃণমূল। পঞ্চায়েত নির্বাচন চলাকালীন এই ঘটনা ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরে।
এই প্রতিরোধের ফলে বুথ দখল করতে ব্যর্থ হয় কেশপুর থেকে আশা তৃণমূলী বাহিনী। সেই আক্রোশে স্থানীয় সিপিআই(এম) শাখা সম্পাদক জয়দেব পড়িয়া’র বাড়ি ভাঙচুর করে তারা। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় খড়ের গাদায়। এলাকার মানুষ আগুন নেভানোর চেষ্টা করার আগেই খড়ের গাদা এবং তাতে জমানো ধানের একটা বড় অংশ পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
দাসপুরের পাশাপাশি বাম কর্মীদের মাটি কামড়ে প্রতিরোধ করতে দেখা গিয়েছে জেলার মোহনপুর ব্লকেও। মোহনপুর ব্লকের সাউটিয়ায় বুথ দখল করে ছাপ্পা দেওয়ার চেষ্টা করে তৃণমূল। সাধারণ মানুষকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন সিপিআই(এম) কর্মী সমর্থকরা।
এলাকা সূত্রে খবর, তৃণমূল প্রার্থীর নেতৃত্বে বুথের দরজা বন্ধ করে ছাপ্পা দেওয়া চলছিল। গ্রামবাসীরা দরজা ভেঙে বুথে ঢোকেন। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী উত্তেজিত জনতা ব্যালট বাক্স পুকুরে ফেলে দিয়েছে।
মোহনপুরের মতো প্রতিরোধের খবর এসেছে গড়বেতা এবং নারায়ণগড় থেকেও। গড়বেতার কাষ্ঠখোল এবং নারায়ণগড় ব্লকের হেমচন্দ্র কানুনগো পঞ্চায়েতের গুড়তলার ২৫৫ নম্বর বুথ থেকেও গণ-প্রতিরোধের খবর মিলেছে। নারায়ণগড়ের কুনারপুর অঞ্চলের ৫নম্বর মাধবপুর বুথে বাম কর্মীরা ভোট লুট করতে আসা তৃণমূলীদের ধাওয়া করে এলাকাছাড়া করেন।
এদিন কেশপুরের উচাহার গ্রামে ভোট লুট করার চেষ্টা করে তৃণমূল। পাল্টা প্রতিরোধ করেন কংগ্রেস প্রার্থী এবং বাম-কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা। এই ঘটনায় আহত হন ৩জন। তাঁদের কেশপুর হাসপাতালে ভর্তি করার সময়ও মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে ২ পক্ষ।
অপরদিকে সবং ব্লকের বুড়াল গ্রাম পঞ্চায়েতের ২০৯ নম্বর বুথেও ছাপ্পা দেওয়ার চেষ্টা করে তৃণমূল। কিন্তু গ্রামবাসীদের প্রতিরোধে পিছু হটতে হয় তাঁদের।
Comments :0