রাজ্যে এবার চালু হচ্ছে সাইবার ফরেনসিক ল্যাব। বেলগাছিয়ায় ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে এই নয়া বিভাগ চালু হতে যাচ্ছে। দিনকয়েক আগে নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এবিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর। আপাতত নয় জনকে নতুন করে নিয়োগ করে চালু হবে ওই ল্যাব।
বিষয়টি একেবারে নতুন তাই নয়া নিয়োগ আইন প্রণয়নের জন্য রাজ্য আইন বিভাগের বিবেচনাধীন রয়েছে। সেখান থেকে ছাড়পত্র পেলেই পিএসসি’র নিয়োগের মাধ্যমে ওই কর্মী নিয়োগের কাজটি করা হবে। সাইবার সংক্রান্ত অপরাধের প্রামাণ্য তথ্যের জন্য পুলিশকে সাহায্য করতে এই বিভাগ চালু হবে বলে জানা গিয়েছে।
এই ল্যাব মোবাইল, ল্যাপটপ, কম্পিউটারের হার্ড ডিস্ক থেকে মুছে দেওয়া ছবি, তথ্য’কে সহজে উদ্ধার করা যাবে। এর পাশাপাশি ‘গেইট’ ভিডিও অ্যানালিসিস করে অপরাধী শনাক্ত করতে এই বিভাগ সাহায্য করবে। প্রত্যেক মানুষের চোখের মণি আলাদা। হাতে ছাপও তাই। এমনকি জানা যাচ্ছে, প্রত্যেক মানুষের হাঁটার ধরনও আলাদা।
আর সেই জন্য সিসিটিভি ফুটেজ থাকলে, ওই ঘটনায় ধৃত ব্যক্তিই অপরাধীকে চিনিয়ে দিতে পারবে নয়া ‘গেইট’ পদ্ধতি। নয়া বিভাগটি কাজ করবে ফরেনসিক ল্যাবরেটরির মধ্যে থেকেই বলে জানা জানা গেছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, দুষ্কৃতীরা যখন মুখ ঢেকে কোনও অপরাধ করেন, সেই অপরাধীদের শনাক্ত করতে ‘গেইট’ পদ্ধতিটি খুবই কার্যকর। কলকাতা পুলিশ এবং চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট কয়েকটি ডাকাতির ঘটনার কিনারা করতে এই পদ্ধতি কাজে এসেছে।
রানাঘাটে সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনায় অপরাধী শনাক্তের কাজে এই নয়া পদ্ধতিটি খুব ভালো কাজে এসেছিলো। একইভাবে কলকাতায় কাঁকুলিয়া রোডে ব্যবসায়ী সুবীর চাকী খুনের মামলায় এই পদ্ধতির ব্যবহার করে সাফল্য এসেছিলো। পুলিশ আধিকারিকদের বক্তব্য, শুধু তদন্তের ক্ষেত্রে নয়, বিচারের সময় এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হিসাবে কাজ করতে পারে।
হাঁটার সময় একজন মানুষ পায়ের পাতার উপর কতটা জোর দেন, কতটা ঝোঁকেন, কতটা দূরত্বে পা ফেলেন, তার সবাটা জানা যায় বলে তা ব্যক্তিকে চেনানোর জন্যও যথেষ্ট বড় প্রমাণ। ‘গেইট’ প্রযুক্তি সিসিটিভিতে দেখতে পাওয়া অপরাধীকে সহজে চিনিয়ে দিতে পারবে। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে সুফল হাতে গরম পাওয়ায় নতুন ল্যাব নিয়ে পুলিশ মহলে আগ্রহ বাড়ছে।
cyber forensic lab Kolkata
কলকাতায় তৈরি হচ্ছে সাইবার ফরেনসিক ল্যাব
×
Comments :0