USAID TRUMP

ভারতে নয়, ‘ভোটের জন্য টাকা’ বাংলাদেশে পাঠিয়েছিল আমেরিকা

জাতীয় আন্তর্জাতিক

মিয়ামির প্রকাশ্য সভায় মন্তব্য করেছেন আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প। বলেছেন, ‘‘ভারতে ভোটদাতার সংখ্যা বাড়ানোর জন্য আমরা কেন ২১ মিলিয়ন ডলার খরচ করতে যাব?’’
ট্রাম্প জুড়ে দেন, ‘‘আমার মনে হয় ওরা বোধহয় চাইছিল অন্য কেউ নির্বাচিত হোক।’’ এরপর ট্রাম্প ফের বলেছেন, ‘‘কোনোকিছুর বিনিময়ে টাকার লেনদেন হয়ে থাকতে পারে।’’
মার্কিন ইউএসএইড’র টাকা ভোটের জন্য খরচের অভিযোগ ট্রাম্প তুলতে এ দেশে সরবে নেমে পড়েছে বিজেপি। কংগ্রেসকে পরোক্ষে দায়ী করে বলেছে টাকা কোথায় কোথায় গিয়েছে সব খুঁজে দেখা হবে। 
ইউএসএইড বা ইউনাইটেড স্টেটস ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট আন্তর্জাতিক মহলে পরিচিত নাম। বিভিন্ন দেশে ত্রাণ বা অনুদানেরত জন্য টাকা পাঠানোর ঘোষণা থাকলেও আসলে রাজনৈতিক লক্ষ্যে বরাবর এই সংস্থাকে ব্যবহার করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ২১ মিলিয়ন ডলার টাকার অঙ্কে ১৭৮ কোটি। 
কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে আদৌ এই অঙ্কের টাকা ইউএসএইড ভারতে পাঠিয়েছিল কিনা তা নিয়েই। বরং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের খরচ সংক্রান্ত প্রকাশ্য নথি ঘেঁটে দেখা গিয়েছে ঠিক ওই অঙ্কের টাকা ২০২২ সালে বরাদ্দ হয়েছিল পাশের দেশ বাংলাদেশের জন্য। 
দেখা যাচ্ছে, ২০২৪-এ ‘ছাত্রদের সজাগ করার’ কর্মসূচিতে ওই বরাদ্দের মধ্যে ১৩ মিলিয়ন ডলার পাঠানো হয়েছিল। লক্ষ্যণীয়, এর মাস সাতেক পরই ছাত্র বিক্ষোভের জেরে দেশ ছাড়তে হয়েছিল শেখ হাসিনাকে। 
ভারতের ভোটদান সংক্রান্ত সচেতনতার টাকা ঘিরে এই অভিযোগের মূলে রয়েছে এলন মাস্কের দপ্তর। ট্রাম্পই তাঁকে বসিয়েছে সরকারি খরচ নিয়ন্ত্রণের নামে কর্মী ছাঁটাইয়ের জন্য। এই দপ্তর জানায় যে সিইপিপিএস নামে একটি কনসর্টিয়ামের মাধ্যমে ভারতে ওই টাকা পাঠানো হয়েছিল। এই কনসর্টিয়ামের জন্য মোট ৪৮৬ মিলিয়ন বা ৪৮ কোটি ৬০ লক্ষ ডলার বরাদ্দ হয়েছিল। 
মাস্কের ‘সরকারি দক্ষতা বৃদ্ধি’ দপ্তর জানায় যে মলডোভায় ২ কোটি ২০ লক্ষ এবং ভারতে ২ কোটি ১০ লক্ষ ডলার বরাদ্দ হয়েছিল ভোটদাতাদের অংশগ্রহণ বাড়াতে।
বিশ্লেষকরা মার্কিন সরকারের নথি ঘেঁটে দেখেছেন, ২০০৮’র পর ভারতের জন্য ইউএসএইড অন্তত ভোটার সচেতনতা খাতে টাকা পাঠায়নি। ২ কোটি ১০ লক্ষ টাকার হদিস মিলছে বাংলাদেশে ‘আমার ভোট আমার’ কর্মসূচিতে পাঠানো টাকার অঙ্কে। ২০২২’র নভেম্বরে এই কর্মসূচিকে খানিক বদলে ‘ইউএসএইড নাগরিক কর্মসূচি’ নাম দিয়ে পাঠানো হয় টাকা। ঢাকায় ইউএসএইড’র রাজনৈতি প্রক্রিয়া উপদেষ্টা নিজেই সোশাল মিডিয়ায় এই তথ্য জানিয়েছিলেন ২০২৪-এ।
ট্রাম্পের অভিযোগ এবং বিজেপি’র তৎপরতার মধ্যেই কংগ্রেস বিশদে তদন্তের দাবি তুলেছে।

Comments :0

Login to leave a comment