মত জানিয়েছিল আন্তর্জাতিক আদালত। প্যালেস্তাইনে দখলদারির আইনি পরিণাম জানিয়ে ইজরায়েলকে বার্তা দেওয়ার কথা ছিল। রাষ্ট্রসঙ্ঘে সেই প্রস্তাবও সমর্থন করেনি ভারত।
গত বছরের অক্টোবর থেকে তিনবার প্যালেস্তাইনের জনতার পক্ষে আনা প্রস্তাবের ভোটাভুটিতে বিরত থেকেছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার।
সিপিআই(এম) সাংসদ জন ব্রিটাসের প্রশ্নে ভারতের বিদেশনীতিতে গুরতর দ্বিচারিতা ফের ফাঁস হয়েছে সংসদে।
গত বছরের ৭ অক্টোবরে হামাসের হামলা এবং গাজায় ইজরায়েলের পূর্ণ আগ্রাসনের পর বারবার ভারতের অবস্থানে প্রশ্ন উঠেছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘে প্যালেস্তাইনের জনতার মানবাধিকারের পক্ষে আনা প্রস্তাবেরও বিরোধিতা করেছে ভারত।
বিদেশ প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং রাজ্যসভায় জানিয়েছেন, গত পাঁচ বছরে রাষ্ট্রসঙ্ঘে প্যালেস্তাইনের পক্ষে আনা ৫৪টি প্রস্তাবে সমর্থন দিলেও বিরত থেকেছে ৮টি প্রস্তাবে।
মন্ত্রী জানাচ্ছেন, ৭ অক্টোবরের পর ১৩টি প্রস্তাবের মধ্যে ৩টি প্রস্তাবে মতদানে বিরত থেকেছে ভারত।
আন্তর্জাতিক আদালতের রায় প্রসঙ্গে প্রস্তাবে ভোট হয়েছিল ১৮ সেপ্টেম্বর। আন্তর্জাতিক আদালতে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে প্যালেস্তাইনের মাটিতে গণহত্যার অভিযোগ দায়ের হয়। দক্ষিণ আফ্রিকা সক্রিয় হয়ে অভিযোগ দায়ের করলেও মোদী সরকার ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর ঘনিষ্ঠ থাকার নীতিতে চলেছেন বারবার।
২০২৩’র ডিসেম্বরেও প্যালেস্তাইনের মাটিতে ইজরায়েলের বাহিনীর দখলদারিতে মানবাধিকার লঙ্ঘন খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি পাঠানোর প্রস্তাব আসে। রাষ্ট্রসঙ্ঘে সেই প্রস্তাবেও বিরত থেকেছে ভারত।
স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় থেকে ভারত প্যালেস্তাইনের জনতার অধিকারের প্রশ্নে সরব থেকেছে। উদার অর্থনীতির পর্বে মার্কিন ঘনিষ্ঠ বিদেশনীতির প্রভাবে সেই পরম্পরা ব্যাহত হয়েছে। নরেন্দ্র মোদীর মেয়াদে ইজরায়েলের সঙ্গে অস্ত্র লেনদেনের তৎপরতা বেড়েছে। এমনকি ইজরায়েলের সঙ্গে চুক্তি করে ভারত থেকে শ্রমিক পাঠানোর বন্দোবস্ত করেছে বিজেপি সরকার।
অথচ, বিদেশ মন্ত্রক এদিন রাজ্যসভায় বলেছে যে ইজরায়েলের ওপর ৭ অক্টোবর সন্ত্রাসবাদী হামলার বিরোধিতা করেছে ভারত। কিন্তু ভারতের বরাবরের অবস্থান আলাদা প্যালেস্তাইন রাষ্ট্র গঠনের দাবিকে সমর্থনই করে আসা হয়েছে।
Palestine India
প্যালেস্তাইন: সংসদে দ্বিচারিতা লুকাতে পারল না কেন্দ্র
×
Comments :0