অবিজ্ঞান কুসংস্কার ও মৌলবাদের বিরুদ্ধে বিজ্ঞান সম্প্রীতির ও সংস্কৃতির স্বপক্ষে পদযাত্রা সংঘটিত হয় জলপাইগুড়িতে। পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ, জলপাইগুড়ি জেলা শাখার ডাকে মঙ্গলবার বিকেলে কামারপাড়া সামনে থেকে পদযাত্রা শুরু হয়। শহর ঘুরে সমাজ পাড়া মোড়ে এসে শেষ হয়। মিছিলে পা মেলান শিক্ষক কর্মচারী কৃষক বিজ্ঞানকর্মী ছাত্র-ছাত্রী সহ সমাজের বিভিন্ন অংশের মানুষ। দেশজুড়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নষ্ট করার লক্ষ্যে ঘটে চলা ঘটনা গুলির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে পদযাত্রায় হাঁটেন মৌলবাদ বিরোধী বিজ্ঞানমনস্ক অসংখ্য মানুষ। পদযাত্রায় শুরুতে জলপাইগুড়ি জেলা বিজ্ঞান মঞ্চের সম্পাদক জলপাইগুড়ি আনন্দ চন্দ্র কলেজ অফ কমার্সের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ড:পার্থসারথী চক্রবর্তী জানান, "কাশ্মীরের ঘটনা ও মুর্শিদাবাদের ঘটনার পাশাপাশি দেশজুড়ে ঘটে চলা সমস্ত সাম্প্রতিক সময়ের হিংসাকে মূলধন করে মৌলবাদ মানুষে মানুষে বিভেদের বাতাবরণ তৈরি করছে। সব ধরনের ধর্মীয় মৌলবাদী শক্তি আসলে মানুষকে তার দৈনন্দিন সমস্যার থেকে দূরে রাখতে অন্ধবিশ্বাস কুসংস্কার আচ্ছন্ন সংস্কৃতির মধ্যে প্রবেশ করাতে চায়। আমরা ধর্মাচরণের বিরুদ্ধে নই কিন্তু ধর্মের নামে মানুষে মানুষে যে অশান্তির বীজ বপন করা হচ্ছে তার বিরুদ্ধে আজকের এই পদযাত্রা।"
পদযাত্রায় নেতৃত্ব দেন জলপাইগুড়ি জেলা বিজ্ঞান মঞ্চের সম্পাদক ডা: পার্থ সারথী চক্রবর্তী, সভাপতি ডাক্তার প্রদীপ ভৌমিক, বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাক্তার পান্থ দাশগুপ্ত, জলপাইগুড়ি বিজ্ঞান কেন্দ্রের সম্পাদিকা রিতা রায় সেনগুপ্ত, এবিটিএ নেতৃত্ব শিক্ষিকা মৌসুমী বোস, পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের রাজ্য কমিটির সদস্য তপন সাহা, জনবিজ্ঞান আন্দোলনের নেতৃত্ব শৈবাল দাশগুপ্ত, রঘুনাথ মজুমদার সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। পদযাত্রার শেষে আজকের দিনে মৌলবাদ ধর্মান্ধতা কে রুখতে বিজ্ঞানমনস্কতা গড়ে তুলে কুসংস্কারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের আহ্বান জানিয়ে ভেদাভেদের রাজনীতিকে দূরে রাখতে সকলের মিলিত প্রচেষ্টায় সংবিধান স্বীকৃত ভারতের বহুত্ববাদকে বিচ্ছিন্নতাবাদের বিরুদ্ধে সম্প্রীতির লক্ষ্যে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বার্তা দিয়ে বক্তব্য রাখেন এবিটিএ'র নেতৃত্ব শিক্ষিকা মৌসুমী বোস। এছাড়াও রবীন্দ্র আবৃত্তি পরিবেশন করেন সাংস্কৃতিক কর্মী সোনালী সিং, সংগীত পরিবেশন করেন সাগ্নিক ভট্টাচার্য। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন রিতা রায় সেনগুপ্ত।
paschim banga vigyan mancha
অবিজ্ঞান কুসংস্কার ও মৌলবাদের বিরুদ্ধে পদযাত্রা জলপাইগুড়িতে

×
Comments :0