কলকাতা কর্পোরেশনের কর্মচারীদের জন্য রাজ্য সরকারী কর্মচারীদের মতো মেডিক্লেম চালু করা, বকেয়া ডিএ দেওয়া, জুনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে বিভাগীয় পরীক্ষা চালু করা সহ ৬দফা দাবিতে বুধবার কলকাতা কর্পোরেশনে বিক্ষোভ দেখালেন কর্মচারীরা। আন্দোলনের চাপে কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়েছেন সমস্ত দাবি মেনে নিতে। এই ঘটনাকে কর্মচারী আন্দোলনের বড় জয় হিসেবেই দেখছেন নেতৃবৃন্দ।
বুধবার দুপুরে কেএমসি ক্লার্কস ইউনিয়নের তরফে কর্পোরেশনের স্পেশাল কমিশনারকে ডেপুটেশন দেওয়া হয়। ইউনিয়ন নেতৃত্ব জানিয়েছেন, স্পেশাল কমিশনার মেডিক্লেম সহ বাকি দাবিগুলির প্রশ্নে সহমত হয়েছেন। এই বিষয় নিয়ে নির্দেশিকা তৈরি করতে পার্সোনাল বিভাগের এক আধিকারিককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ৬টি দাবি নিয়েই ২২ মে পার্সোনাল বিভাগের সঙ্গে বৈঠক করবেন স্পেশাল কমিশনার। দাবিগুলিকে মান্যতা দিয়ে কিভাবে প্রস্তাব পেশ করা যায়, সেই বিষয়টি দেখা হবে।
২৩ ফেব্রুয়ারি ২ দিনের অবস্থানে বসেন ইউনিয়নের সদস্যরা। তখন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ আশ্বাস দিয়েছিলেন, এপ্রিল মাস থেকে শুরু হতে চলা নতুন আর্থিক বছরে দাবিগুলিকে বাস্তবায়িত করা হবে। ডেপুটি মেয়রের আশ্বাসের ফলে নৈশকালীন অবস্থান থেকে সরে আসেন কর্মচারীরা।
কিন্তু এপ্রিল গড়িয়ে মে মাস পড়লেও এখনও এই সংক্রান্ত কোনও ফাইল তৈরি হয়নি কর্পোরেশনে। তাই এদিন স্পেশাল কমিশনারের কাছে ডেপুটেশন দেওয়া হয়েছে।
এদিন ডেপুটেশন দেওয়ার আগে মিছিল করেন কর্মচারীরা। পার্সোনাল বিভাগ সহ কর্পোরেশনের বিভিন্ন বিভাগ ঘুরে স্পেশাল কমিশনারের ঘরের সামনে মিছিল শেষ হয়। এদিনের মিছিলে নতুন প্রজন্মের কর্মী এবং মহিলাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। এদিনের আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন কেএমসি ক্লার্কস ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ ভট্টাচার্য, সভাপতি সুপ্রভাত দে, প্রসেনজিৎ ঘোষ প্রমুখ।
Comments :0