ট্রামকেও রিয়েল এস্টেট হিসেবে দেখছে মমতা ব্যানার্জির সরকার। বড় বড় মল তৈরির জন্য ট্রামের জমির দিকে চোখ পড়েছে শাসক দলের। শুধু তাই নয়, ট্রামের যন্ত্রাংশ, তামার দামি তার – সবই খুলে নিয়ে বিক্রি করে দিচ্ছে। আমাদের স্পষ্ট বক্তব্য, এর বিরুদ্ধে পথে নেমে আরও বেশি করে প্রচার আন্দোলন করতে হবে।
বৃহস্পতিবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠকেএকথা বলেছেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তিনি বলেন, কলকাতার এই গণপরিবহন ব্যবস্থাকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। কোনোভাবেই ট্রাম তুলে দেওয়া চলবে না।
ট্রাম তুলে দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে এদিন কলকাতা ট্রাম ইউজার্স অ্যাসোসিয়েশন (সিটিইউএ)-এর পক্ষ থেকে কলকাতা প্রেস ক্লাবে এই সাংবাদিক বৈঠকে ছিলেন নগর রূপকার ও বাস্তুকার দীপঙ্কর সিনহা, অধ্যাপক সুকান্ত চৌধুরী, সিটিইউএ সভাপতি দেবাশিস ভট্টাচার্য, অভিনেতা রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত, চিত্র পরিচালক অশোক বিশ্বনাথন, জিএম কাপুর, স্বাতী নন্দী চক্রবর্তী প্রমুখ। সাংবাদিক বৈঠক সঞ্চালনা করেন সিটিইউএ সম্পাদক মহাদেব শী।
মহম্মদ সেলিম বলেন, কী যুক্তিতে ট্রাম তুলে দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে তা কারও বোধগম্য হচ্ছে না। বলা হচ্ছে ওতে নাকি দুর্ঘটনা বাড়ে, জ্যাম তৈরি হয়। তাহলে বাইপাসে, যেখানে ট্রাম নেই, সেখানে জ্যাম কেন হয়। কলকাতায় রাস্তা আটকে পুলিশ টাকা তোলে কী করে। আসল লক্ষ্য হল ট্রামের জমি। তার জন্য সিন্ডিকেট তৈরি হয়ে গেছে। ওদিকে কর্পোরেট ক্ষেত্রের সঙ্গে কথা একরকম হয়েই গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর! এছাড়াও ট্রামের যন্ত্রাংশ, তার নিয়ে গোপনে বিক্রিবাটা চলছে রমরমিয়ে। ট্রাম তুলে দিয়ে পার্কিং স্পেস করা হচ্ছে। ট্রাম যে সবুজ রক্ষা করে, পরিবেশ দূষণ হতে দেয় না, তা ভাবাই হচ্ছে না। রাস্তায় কি শুধু ব্যক্তিগত গাড়িই থাকবে। সাধারণ মানুষের স্বার্থে এই গণপরিবহন ব্যবস্থাকে বাঁচিয়ে রাখতে আরও বেশি প্রতিবাদ ধ্বনিত হওয়া দরকার।
Comments :0