বীরভূমে ব্যালট বাক্সে আগুন লাগানোর অভিযোগ
পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন সকাল থেকেই বীরভূমের ময়ূরেশ্বর থেকে দফায় দফায় অশান্তির খবর মিলেছে। সাঁইথিয়া, খয়রাশোল থেকেও এসেছে অশান্তির খবর।
বীরভূমের ময়ূরেশ্বরের মাঝিপাড়ায় সকাল থেকেই তৃণমূলের বাহিনী বুথ দখলের চেষ্টা করলেও সফল হয়নি। সকাল থেকেই ময়দানে ছিলেন সিপিআই(এম) কর্মীরা। অবশেষে দুপুর ৩টে নাগাদ সর্বশক্তি প্রয়োগ করে বুথের দখল নেওয়ার চেষ্টা করে তৃণমূল। কিন্তু প্রতিরোধ গড়ে তোলেন সিপিআই(এম) কর্মী-সমর্থকরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে হাজির হয় ময়ূরেশ্বর থানার পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী। বুথ দখল করতে না পারার আক্রোশে পুলিশের একটি জিপে ভাঙচুর চালায় তৃণমূল।
ময়ূরেশ্বর ২ ব্লকের দাসপলসা গ্রাম পঞ্চায়েতে বুথে বোমাবাজির অভিযোগ উঠল নির্দল প্রার্থীর বিরুদ্ধে। তৃণমূলের অভিযোগ, মারধর করা হয় তৃণমূল প্রার্থী আবাদি মল্লিক’কে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী উপস্থিত হয়েছে।
এর পাশাপাশি বীরভূমের ময়ূরেশ্বরে ব্যালট বক্স ছুড়ে ফেলে ব্যালটপত্র আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হলো। ময়ূরেশ্বর পঞ্চায়েতের ১৫৬ ও ১৫৭ নম্বর বুথে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ছাপ্পা দেওয়ার অভিযোগ তোলেন বিরোধীরা। এলাকার মানুষ জানাচ্ছেন, ছাপ্পা দেওয়ার কারণে উত্তজিত হয়ে এলাকাবাসী ব্যালট বাক্সে আগুন লাগিয়ে দেয়। অশান্তির কারণে ভোট গ্রহণ বন্ধ রয়েছে।
ভোটের দিন সাত সকাল থেকেই ময়ূরেশ্বরের কাঞ্চনা গ্রামে উত্তেজনা ছড়ায় । বিরোধীদের অভিযোগ, ময়ূরেশ্বর বিধানসভার অন্তর্গত কাঞ্চনা ২৪০ নম্বর বুথের বিজেপি এজেন্টকে মারধোরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
ময়ূরেশ্বরের রাজচন্দ্রপুর গ্রামেও ব্যালট বাক্স লুট ও পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ময়ূরেশ্বর পঞ্চায়েতের রাজচন্দ্রপুর গ্রামের ১৪৭ নং বুথে ভোটদান চলাকালীন হঠাৎ করেই বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী মুখে কালো কাপড় বেঁধে ঢুকে পড়ে। প্রিসাইডিং অফিসারদের সামনেই ব্যালট বাক্স ও ব্যালট পেপার নিয়ে চলে যায় তাঁরা। পরবর্তীতে সেগুলি কিছু ফেলে দেওয়া হয় পুকুরের জলে, কিছু আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। অন্যদিকে তার কিছুটা দূরেই ময়ূরেশ্বর থেকে কোটাসুর যাওয়ার রাস্তায় দুটি বাইক ভাঙচুর ও আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। অগ্নিসংযোগ হওয়া বাইক গুলির পাশে পুড়ে যাওয়া ব্যালট পেপার ও দেখা যায়। এই বুথটি সম্পূর্ণরূপে মহিলা পরিচালিত ছিল। এখন সেখানে ভোটদান প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
ময়ূরেশ্বরের ১৫৬ এবং ১৫৭ নম্বর বুথে ব্যালট বক্স পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিজেপি প্রার্থী কাঞ্চন ঘোষের বিরুদ্ধে।
সাঁইথিয়া ব্লকের ফুলুর পঞ্চায়েতের ১২৮, ১২৯ হরপলসা প্রাইমারী স্কুলে ভোট বন্ধ রয়েছে বলে খবর। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বোমাবাজি চলছে। প্রাণ বাঁচাতে নির্বাচনী আধিকারিকরা বুথ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন।
অপরদিকে খয়রাশোল ব্লকের কাঁকড়তলা থানার বাবুইজোড় গ্রামের ৮ নম্বর বুথে তৃণমূল কর্মীর মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল নির্দল প্রার্থীর বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রামে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। আহত ব্যক্তির নাম পাপাই পাল।
Comments :0