একশ্রেণির জমি মাফিয়া, স্থানীয় তৃণমূল নেতা ও মালিকদের যোগ সাজসে চলছে চা বাগানের ফাঁকা জমি বিক্রির উদ্যোগ।
ফাঁকা জমির পরিমাণ বাড়াতে কাটা হচ্ছে চা গাছ, শেড ট্রি। শ্রমিকরা বাধা দিতে গেলে তাঁদের নামে চা পাতা চুরির মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে ভয় দেখানো হচ্ছে।
সম্প্রতি চা বাগানের ব্যবহার না হওয়া জমি অন্য কাজে ব্যবহার করার ছাড়পত্র দিয়েছে রাজ্য সরকার। সরকারি উদ্যোগে টি ট্যুরিজম করার কথাও ঘোষণা করেছে সরকার। সেই ঘোষণার কারণে জমি মাফিয়ারা সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে।
রাজগঞ্জের বন্ধুনগর এলাকার রজনী চা বাগানে এভাবেই গাছ কেটে গোটা বাগান বিক্রি করার পরিকল্পনা নিয়েছেন চা বাগান কর্তৃপক্ষ ।ফলে বিপাকে পড়ার আশঙ্কা করছেন ঐ বাগানে শ্রমিকরা।
বার বার বাগান মালিক ও শ্রম দপ্তরের সাথে কথা বলেছেন সিআইটিইউ নেতৃবৃন্দ। কিন্তু সুরাহা হয়নি। রাতের অন্ধকারে চা বাগানের কয়েকশো গাছ কাটা হয়ে গেছে। যা চা বাগানের মালিক করিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
জলপাইগুড়ি জেলা সিআইটিইউ অনুমোদিত চা বাগান মজদুর ইউনিয়ন নেতা অমূল্য রায় জানান, "চা শ্রমিকদের কথা না ভেবে অধিকাংশ চা বাগানে বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি করছে। মালিকপক্ষ অনেক ক্ষেত্রে শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের শিকার হচ্ছে চা বাগানের ম্যানেজমেন্ট। সমস্যায় শ্রমিকরা বেশ কয়েকটি চা বাগানে এখনো বোনাস মেলেনি শ্রমিকদের।" সদর ব্লকের ভিজা বাড়ি টিএস্টেট, রাজগঞ্জ ব্লকের তালমা টি এস্টেট সহ সদর ও রাজগঞ্জ ব্লকের বেশ কিছু চা বাগানে সমস্যার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন শ্রমিকরা।
Comments :0