Tripura BJP MLA porn watching row

অশ্লীল ভিডিও দেখেছেন বিজেপি বিধায়ক, বিরোধীদের বহিষ্কার স্পিকারের

জাতীয়

বিধানসভায় সভা চলাকালিনই মোবাইলে অশ্লীল ভিডিও দেখেছিলেন বিজেপি বিধায়ক যাদব লাল নাথ। ঘটনাটি ঘটেছিল ২৭ মার্চ ত্রিপুরা বিধানসভায় বাজেট অধিবেশন চলাকলীন। সেই ছবি ধরা পড়েছিলে ক্যামেরায়। তারপরও তার বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ করেনি ত্রিপুরা বিধানসভার অধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধ সেন। শুক্রবার ফের বিধানসভায় ফের বাজেট অধিবেশন শুরু হয় সেখানে বিরোধী নেতারা মার্চ মাসের ওই ঘটনা নিয়ে সরব হন। বিধানসভায় সভা চলাকালীন অশ্লীল ভিডিও দেখার পরও কেন অধ্যক্ষ কোনও পদক্ষেপ করেননি ওই বিধায়কের বিরুদ্ধ, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে সিপিআই(এম) সহ বিরোধী দল গুলো।


কিন্তু ত্রিপুরা বিধানসভার অধ্যক্ষ সেই বিজেপি বিধায়ক যাদব লাল নাথের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না নিয়ে উল্টে বিরোধী পাঁচ বিধায়ককে সাসপেন্ড করল অধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধ সেন। সাসপেন্ড হওয়া বিধায়করা হলেন সিপিআই(এম)’র বিধায়ক নয়ন সরকার, কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন এবং তিপরা মথার বৃশকেতু দেববর্মা, রঞ্জিত দেববর্মা, নন্দিতা দেববর্মা। এদিন বিধানসভায় বিরোধী দলের বিধায়করা যখন বিষয়টি নিয়ে সরব হন তখন কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মনক দেখা যায় গঙ্গাজল ও তুলসি পাতা নিয়ে ওই বিজেপি বিধায়কের গায়ে ছিটিয়ে দিচ্ছেন।


তবে বিজেপি’র বিধায়ক বা সাংসদদের কাছে সভা চলাকালীন নিষিদ্ধ ছবি দেখা নতুন বিষয় নয়। এর আগে ২০১২’তে কর্ণাটক বিধানসভাতে সভা চালাকলীন অশ্লীল ছবি দেখেছিলেন বিজেপি বিধায়ক সিসি পাটিল ও লক্ষণ সভাদি। ফোনটি ছিল আরেক বিজেপি নেতা কৃষ্ণ পালেমারের। যদিও সে সময়ে নিজেদের মুখ রক্ষা করতে ওই তিনজন বিজেপি নেতা পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। যদিও পরে ওই সভাদি উপ মুখ্যমন্ত্রীও হয়েছিলেন কর্ণাটকের। এই ঘটনা প্রসঙ্গে সিপিআই(এম)’র দাবি আরএসএস-বিজেপি এই ধরনের সংস্কৃতিতেই বিশ্বাস করে।

Comments :0

Login to leave a comment