দীর্ঘ আট বছর দলের অধিনায়ক থেকে এক বারও ট্রফি হাতে তুলতে পারেননি বিরাট কোহলি। কাছাকাছি এসেও ব্রাত্য থেকেছেন শিরোপা অর্জনে। বাধ্য হয়ে বছর দুয়েক আগে আরসিবির অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেন। তাঁর বদলে দায়িত্ব নেন ফ্যাফ ডুপ্লেসি। এত দিনে অধিনায়কত্বের শেষের কয়েক দিনের অভিজ্ঞতা নিয়ে মুখ খুললেন কোহলি।

প্রাক্তন আরসিবি অধিনায়ক জানিয়েছেন, “আমার অধিনায়কত্বের শেষের দিকে নিজের উপর কোনও বিশ্বাসই পড়ে ছিল না। কোথায় যেন হারিয়ে গিয়েছিলাম। মাথা পুরো ফাঁকা হয়ে গিয়েছিল। নিজেই নিজেকে বলছিলাম, অনেক কিছু দেখে ফেলেছি। আর এ সব চালাতে পারছি না। আর কিছু সহ্য করতে পারছি না।” 

কোহলি যোগ করেন, “পরের মরশুমে নতুন ক্রিকেটাররা এল। সবার নতুন ভাবনা, নতুন সুযোগ। ওরা উত্তেজিত ছিল। আমি ততটা উত্তেজিত ছিলাম না। কিন্তু ওরা দলে এমন একটা পরিবেশ তৈরি করল যে টানা তৃতীয় বছর আমরা প্লে-অফে পৌঁছে গেলাম। এখন প্রতিটা মরশুম আগের মতোই উত্তেজনা নিয়ে শুরু করি।”

কোহলির স্মৃতিচারণে উঠে এসেছে ২০১৯ সালের কথাও। কোহলি বলেছেন, “২০১৯-এ আমরা টানা ছ’টা ম্যাচে হেরেছিলাম। পরিষ্কার মনে আছে, ছ’নম্বর ম্যাচটার পরে রাতে আমাদের একটা গেট টুগেদার ছিল। হেরে গেলেও অধিনায়ক হিসাবে সেখানে গিয়েছিলাম। কিন্তু মাথার মধ্যে কিছু কাজ করছিল না। কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। নিজেই নিজেকে চিনতে পারিনি তখন। কোনও বিশ্বাস পড়ে ছিল না মনে।”

কোহলির সংযোজন, “সেই গেট টুগেদারে প্রথমেই এবিকে (ডিভিলিয়ার্স) চোখে পড়ে। দু’জনেই মুখোমুখি দাঁড়িয়ে পড়ি। দু’জনেই ভাবছিলাম, জীবনে কখনও কোথাও টানা ছ’টা ম্যাচে হারিনি। ১৫ বছর ক্রিকেট খেলার পরেও।” সেবছর প্রথম ছ’টা ম্যাচেই হেরেছিল আরসিবি।

অন্যদিকে ডব্লিউপিএলে টানা পাঁচ ম্যাচ হারের পর বুধবার ইউপি ওয়ারিয়র্সকে হারিয়ে প্রথম জয়ের স্বাদ পেল স্মৃতি মান্ধানারা। বুধবার ম্যাচের আগে এলিস পেরি, রিচা ঘোষদের সঙ্গে দেখা করেন বিরাট কোহলি। ম্যাচের পর এক ক্রিকেটার বলেই দিলেন, কোহলির বার্তায় উজ্জীবিত হয়েই তাঁরা ভালো খেলতে পেরেছেন। কী ভাবে মহিলা ক্রিকেটারদের তাতিয়েছিলেন কোহলি, সেই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এনেছে আরসিবি। 

সেখানে কোহলি বলেছেন, “আমি ১৫ বছর ধরে আইপিএল খেলছি। এখনও ট্রফি জিতিনি। কিন্তু প্রতি বছর নতুন উদ্যমে খেলতে নামার পথে সেটা বাধা হয়ে দাঁড়ায় না। ওটাই আমার কাজ। প্রতি ম্যাচ এবং প্রত্যেকটা প্রতিযোগিতায় সমান তাগিদ নিয়ে খেলতে নামি।”

ম্যাচের পর বুধবারের জয়ের অন্যতম কান্ডারি ক্রিকেটার কণিকা আহুজা বলেছেন, “চাপের কথা মাথায় না রেখে কোহলি স্যার আমাদের বলেছেন খোলা মনে খেলতে। মাঠে নেমে কোনও চাপ নিতে বারণ করেছেন। বলেছেন, খেলতে পারার সুযোগ আমাদের প্রত্যেকের কাছে আনন্দের ব্যাপার।”