MAZDOOR KISAN MAHAPADAV

সিমলা থেকে চেন্নাই, কলকাতা রাঁচি লক্ষ্ণৌয়ের রাস্তায় শ্রমিক কৃষকরা

জাতীয়

চেন্নাইয়ে সমাবেশের একাংশ

‘মজদুর কিষান মহাপড়াও’-র ডাকে সাড়া দিয়ে দেশজুড়ে নেমেছেন শ্রমিক কৃষকরা। হরিয়ানা এবং পাঞ্জাবের কৃষকদের আটকাতে চণ্ডীগড়ে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। কলকাতা থেকে চেন্নাই, ঝাড়খণ্ড থেকে রাঁচি- সর্বত্র শ্রমজীবী সমবেত হয়েছেন দেশ বাঁচানোর স্লোগান তুলে। তুলছেন জীবিকার পক্ষে দাবি। 
দেশের সব শহরে ২৭ এবং ২৭ নভেম্বর অবস্থান করবেন শ্রমিক এবং কৃষকরা। ২৮ নভেম্বর সব রাজ্য রাজধানীতে রাজভবন অভিযান হবে। দাবিপত্র রাজ্যপালদের মাধ্যমে পাঠানো হবে প্রধানমন্ত্রীর কাছে। সব কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন এবং সংযুক্ত কষান মোর্চা এই কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল গত আগস্টে, দিল্লির তালকাটোরায় জাতীয় স্তরের কনভেনশন থেকে।
সারা ভারত কৃষকসভার সভাপতি অশোক ধাওলে বলেছন, ‘‘শ্রমজীবীর এই জমায়েত, শ্রমিকদের মজুরি থেকে কৃষকদের ফসলের দামের দাবি, সারা দেশের জনতার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। দেশ বাঁচানোর লড়াইয়ে শামিল শ্রমজীবী। ২৬ থেকে ২৮ নভেম্বর, দেশজুড়ে শ্রমজীবী সমবেত হয়েছেন সেই লড়াইয়ে।’’ 
সংসদে শ্রম আইন বদলে শ্রম কোড পাশ করিয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। ন্যূনতম বেতন থেকে কাজের সুরক্ষার যেটুকু আইনি সংস্থান রয়েছে, তা-ও কেড়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সব কাজ হয়ে যাচ্ছে চুক্তিভিত্তিক। আরেকদিকে চলছে ঢালাও বেসরকারিকরণ। 
কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন সমূহ এবং কৃষক সংগঠনগুলির মঞ্চ সংযুক্ত কিষান মোর্চা কেন্দ্রের সরকারের এই পদক্ষেপ রুখে দেওয়ার ডাক দিয়েছেন। 
কৃষকদের দাবি, প্রতিশ্রুতি মতো ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে ফসল বিক্রির আইনি নিশ্চয়তা দিতে হবে। দিল্লিতে এক বছর ধরে কৃষক আন্দোলনের জেরে এই আইনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নিজে। কিন্তু কাজ এগোয়নি। 
সেই সঙ্গে যোগ হয়েছে জিনিসপত্রের দাম, বেকারি। ‘শ্রমিক কৃষক মহাপড়াও’ দাবি তুলছে বাতিল করতে হবে বিদ্যুৎ আইন বদলের প্রয়াস। বাতিল করতে হবে প্রিপেইড স্মার্ট মিটার।
এদিন চেন্নাইয়ে বিশাল সমাবেশে বক্তব্য রেখেছেন সাধারণ সম্পাদক বিজু কৃষ্ণান। লক্ষ্ণৌয়ে অবস্থানে যোগ দিয়েছেন পি কৃষ্ণপ্রসাদ। হরিয়ানার কৃষকসভার কর্মীরা ট্রাক্টরে ট্রলি বেঁধে দলে দলে গিয়েছেন চণ্ডীগড়ে। ঝাড়খণ্ডের রাঁচিতেও চলছে অবস্থান। সিমলায় রাজ্য সচিবালয়ের সামনে ধরনা অবস্থানে বসেছেন শ্রমিক, কৃষকরা। 
ধাওলে বলেছেন, ‘‘দেশি বিদেশি কর্পোরেটের স্বার্থে দেশকে বেচে দেওয়া হচ্ছে। মানুষের ঐক্যকে ভেঙে দেওয়ার কাজ চলছে। কখনও ধর্মের নামে। আবার কখনও জাত, অঞ্চল বা ভাষার নামে চলছে বিভাজন। সংবিধানের মূল কাঠামো ধ্বংস করছে দেশের সরকার। কেন্রদ্র-রাজ্য সম্পর্কে গুরুতর অবনতি দেখা যাচ্ছে। গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতার ধারণা আক্রান্ত। জনতার জীবন জীবিকায় তার প্রভাব রয়েছে। সে কারণেই রাস্তায় শ্রমজীবী।’’

Comments :0

Login to leave a comment