গাজায় ভয়াবহ ইজরায়েলী হামলায় অন্তত ৯১ জন প্যালেস্তিনীয় নিহত হয়েছেন। শনিবার গাজা উপত্যকা জুড়ে ইজরায়েলের অব্যাহত হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৯১ জনেরও বেশি প্যালেস্তিনীয় নিহত হয়েছেন। যার মধ্যে গাজা সিটিতে কমপক্ষে ৪৮ জন রয়েছেন। আলজাজিরার খবর অনুযায়ী ইজরায়েলী সেনাবাহিনীর আক্রমণ আরও তীব্র করছে। মধ্য গাজার নুসাইরাত শরণার্থী শিবিরে ইজরায়েলী হামলায় কমপক্ষে ১২ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। গাজার আল-আওদা হাসপাতাল জানিয়েছে, ইজরায়েলী ড্রোন হামলায় ৬০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছে।
অন্যদিকে গাজার প্রতি সংহতি জানিয়ে বার্লিনে হাজার হাজার মানুষ সমাবেশ করেছে, ইজরায়েলের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার আহ্বান জানিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, বার্লিনের শহরতলির মধ্য দিয়ে প্রায় পঞ্চাশ হাজার মানুষ এই পদযাত্রায় অংশ নিয়েছেন। বিক্ষোভকারীদের উপর নজরদারি করার জন্য প্রায় ১৮ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়। জার্মান সংবাদ  সংস্থার খবর অনুযায়ী, বিক্ষোভকারীরা ইজরায়েলে জার্মান অস্ত্র রপ্তানি বন্ধেরও আহ্বান জানিয়েছে এবং ইজরায়েলের বিরুদ্ধে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞার দাবি জানিয়েছে। শনিবারের পর রবিবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রক আল জাজিরাকে জানিয়েছে, গাজায় ইজরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ২৪ জন প্যালেস্তিনীয় নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে মধ্য গাজার নুসাইরাত শরণার্থী শিবিরে কমপক্ষে ১০ জন বাস্তুচ্যুত প্যালেস্তিনীয় রয়েছেন। 
স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে চিকৎসক দল জানিয়েছে, ইজরায়েলি বাহিনী অবকাঠামো, আবাসিক বাড়ি, ভবন, আশেপাশের এলাকা ধ্বংস করছে, যার ফলে চিকিৎসা দলগুলোর পক্ষে আহত এবং ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া মানুষদের কাছে পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়ছে।
ইজরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে বলেছেন, সব লক্ষ্য অর্জন না হওয়া পর্যন্ত গাজায় যুদ্ধ থামানো হবে না। বরং তিনি গাজায় হামলা ও বর্বরতা আরও বাড়ানোরও কথাও ঘোষণা করেছেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১০০ জন মানুষ নিহত হচ্ছেন ইজরায়েলি হামলায়। শিশু, মহিলাও বৃদ্ধরাই বেশি প্রাণ হারাচ্ছেন।
Israeli Attck
গাজায় ইজরায়েলী হামলায় নিহত ৯১, প্রতিবাদ বার্লিনে
                                    ইজরায়েলের বিরুদ্ধে জনগণ বিক্ষোভ বার্লিনে।
                                
                                    ×
                                    
                                
                                                        
                                        
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
Comments :0