দেগঙ্গায় এক ব্যক্তির থেকে উদ্ধার হলো প্রত্নসামগ্রী। প্রত্নসামগ্রীর ক্রেতা সেজে দেগঙ্গার হাদিপুরের বাসিন্দা আসাদুলজামান নামে ওই ব্যক্তির বাড়িতে ক্রেতা সেজে পৌঁছান উদ্ধারকারীরা। তাঁরা জানিয়েছেন উদ্ধার হওয়া প্রত্নসামগ্রীর বাজার দাম প্রায় ১০০ কোটি টাকা। মৌর্য ও কুষাণ যুগের সামগ্রী মিলেছে শুক্রবার।
পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ এই প্রত্নসামগ্রী নিয়ে একটি মিউজিয়াম করবে। অ্যাডমিনিস্ট্রেটর জেনারেল অ্যান্ড অফিসিয়াল ট্রাস্টি অব হানা দিয়ে প্রায় ১৫ রকমের সামগ্রী পেয়েছে। হাতির দাঁত, হরিণের পা, প্রাচীন দেবদেবীর মূর্তি এবং আরো সামগ্রী উদ্ধার হয়েছে।
দেগঙ্গার হাদিপুরের পূর্বপাড়ায় আসাদুজ্জামান বাড়ির দোতলার তিনটি ঘরের গোডাউনে মজুত করে রেখেছিলেন। প্রত্নস্থল চন্দ্রকেতূগড়ের ধ্বংসাবশেষ ও প্রাচীন সামগ্রী উদ্ধারের অভিযানে নেমেছিলেন অ্যাডমিনিস্ট্রেটরে জেনারেল এন্ড অফিসিয়াল ট্রাস্টি অব ওয়েস্টবেঙ্গলের আধিকারিকরা। তাঁরা আসাদুজ্জামানের বাড়িতে গিয়ে প্রত্নস্থল চন্দ্রকেতূগড় থেকে পাওয়া বহু সামগ্রী দেখেন। যার মধ্যে ১৫-২০টি সামগ্রীতে পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের শংসাপত্র আছে।
ঘটনাস্থলে দেগঙ্গা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী রয়েছে। প্রায় একশো কোটি টাকার জিনিস উদ্ধার হয়েছে। এই রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি উদ্ধারের পরে আধিকারিকরা জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গে সব থেকে বড় প্রত্নসামগ্রী উদ্ধারের অপারেশন হয়েছে এ দিন।
অ্যাডমিনিস্ট্রেটর জেনারেল অ্যান্ড অফিসিয়াল ট্রাস্টি অব ওয়েস্ট বেঙ্গলের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক বিপ্লব রায় জানান, ‘‘বিশ্বস্ত সূত্রে খবর পেয়ে আমরা আসাদুলজামানকে নজরে রাখি। তাঁকে ফোন করে বলি যে আমরা দিল্লি থেকে গঙ্গাসাগর মেলায় এসেছি পরিবার নিয়ে। আমি অ্যান্টিক সংগ্রহ করি। আপনার সাথে দেখা করতে চাই। সেই মতো এদিন আমাদের সহকর্মীদের মধ্যে একজনকে আমার স্ত্রী ও শ্যালিকাকে পরিচয় দিয়ে ওনার বাড়িতে যাই। বারাসত পুলিশ জেলার এস পি কে জানিয়ে রাখি। সেই মতো পুলিশও ওঁত পেতে বসে থাকে। এরপর আসাদুলজামানের গোডাউন থেকে উদ্ধার হয় বহু বছরের বহু মূল্যের প্রত্নসামগ্রী।’’
Comments :0