বইকথা — নতুনপাতা
মাকড়শা চেনার সহজ পাঠ – ‘বাংলার মাকড়শা’
সৌরভ দত্ত
পশ্চিমবঙ্গ জীব বৈচিত্র্য পর্ষদের হয় বাংলার মাকড়শা বইটিতে হরেকরকম মাকড়শার কথা জানা যায়।শীলাঞ্জন ভট্টাচার্য্য সম্পাদিত এই গ্রন্থে মাকড়শা সমাজের তত্ত্বতালাশ উঠে এসেছে। আমাদের চোখ মেললেই গ্রাম বাংলার মাঠেঘাটে কতরকম গাছপালা, পশুপাখি, কীটপতঙ্গ দেখা যায়।অথচ সেগুলোর খোঁজ আমরা রাখি কি!এই বইয়ে বাংলার মাকড়শার বিভিন্ন প্রজাতি সম্পর্কে ও লুপ্ত হওয়ার হাত থেকে সংরক্ষণ প্রসঙ্গে আমরা জানতে পারি। বাড়ির কোনায় আনাচে কানাচে বনবাদাড়ে মাকড়শার জাল ও রকমারি মাকড়শা লক্ষ্য করা যায় । সামান্য ভয় লাগলেও কৌতুহলী শিশুমন সেসব নজর রাখে।ভূমিকা অংশে বলা হয়েছে–“মাকড়শা পরিবেশে বিভিন্ন পোকার বৃদ্ধিকে নিয়ন্ত্রণে আনে কিন্তু জৈবনিয়ন্ত্রক হিসাবে এরা বিশেষ পরিচিত নয়।আশা করি খুব যত্ন সহকারে বিভিন্ন রেখাচিত্র ও রঙিন ছবি সহযোগে লেখা ‘বাংলার মাকড়শা’ গ্রাম-শহরের সব মানুষজনের মধ্যে মাকড়শার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করবে।”বইয়ে চিত্রিত হয়েছে মাকড়শার শরীরের বিভিন্ন অংশ। মাকড়শার প্রাথমিক পরিচিতি রয়েছে।“রেশম গ্রন্থি দিয়ে বেরিয়ে আসা সুতো দিয়ে তৈরি জাল মাকড়শার অপূর্ব কীর্তি।”মাকড়শাদের দুটি আলাদা ভাগ আছে:‘জাল বোনা মাকড়শা’ ও ‘ভবঘুরে মাকড়শা’।বইয়ের প্রথমেই রয়েছে লম্বু মাকড়শার বর্ণনা যার বৈজ্ঞানিক নাম–ক্রসপ্রিজা লায়নি। এদের সরু কাঠির মতো পা।মাথা খুব ছোট।পেট চৌকোনা। ধূসর রং এর পেটের উপর সাদা-কালো রং। পেটের ধারে কালো রঙের আঁকিবুঁকি।তাঁবু মাকড়শার কথা আছে যাদের বাড়ির দেওয়ালের কোণে ,পাঁচিলে দেখা যায়।হলদে বাগান মাকড়শা যেমন জ্যামিতিক ছকে সুন্দর জাল বোনে। সবুজ কাঠি মাকড়শা বড় সবুজ কলাপাতার নিচে দেখা যায়।লাল পুঁতি মাকড়শা,চোরা মাকড়শা,লেজুড় মাকড়শা,ডুমো মাকড়শা,লাল পাড় লাফাড়ু মাকড়শা সহ প্রায় পঞ্চাশটি প্রজাতির মাকড়শার সুন্দর বর্ণনা ও আবাসস্থল ও পরিচিতি রয়েছে এই বাংলার মাকড়শা বইটিতে।যা শিশু থেকে বড়দের কাছেও খুব মনোগ্রাহী।
বইয়ের নাম –বাংলার মাকড়শা
প্রচ্ছদ–হিরণ মিত্র
রেখাচিত্র–সুমিতা চক্রবর্তী
রঙিন ছবি–সুমিতা চক্রবর্তী
সম্পাদক–শীলাঞ্জন ভট্টাচার্য্য
প্রকাশক–চেয়ারম্যান, পশ্চিমবঙ্গ জীব বৈচিত্র্য পর্ষদ
মূল্য–১৭০ টাকা
মন্তব্যসমূহ :0