‘ওদেরকে ভয় খাব আমরা? হুগলী জেলায় লড়াই করে দেখিয়ে দিয়েছি। আবাসের ঘরে বঞ্চনা হচ্ছে। আর দিদি বলছেন ডবল উন্নয়ন হচ্ছে।’ এমন চড়া সুরেই বক্তব্য রেখেছেন খেতমজুর আন্দোলনের নেত্রী বন্যা টুডু। হুগলীর দাদপুরে জমির ল৩াইয়ে প্রশাসনকে পিছ হটাতে বাধ্য করার ঘটনা মনে করিয়ে দিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, মানুষ বলেছেন, লালঝাণ্ডা কবে ফিরবে অপেক্ষা করছি। বিডিও বলছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাচ্ছেন না। বললাম, হ্যাঁ স্যার। লক্ষ্মীরা যেখানে সম্মান পাচ্ছে না সেখানে ভাণ্ডারের কথা বলছেন?
ছাব্বিশে খেলা হবে। ব্যাট হবে, বলও হবে। উইকেট আমরা ফেলব। বুথে নজর রাখব। সব বুথে নজর রাখব।
কেবল বক্তৃতা শুনলে হবে না। ফিরে গিয়ে মানুষের কাছে পৌঁছাতে হবে। তিনি বলেন, রাজ্যের মানুষ ভালো নেই। দুটো সরকার মানুষের জবিন শেষ করে দিচ্ছে। গ্রামে হাতি ঢুকলে আমরা গ্রামের লোকেরা আগুন ধরিয়ে তারাই। পুলিশ প্রশাসন যারা জমি দখল করতে আসে তাদেরকেও এই ভাবে তাড়াতে হবে। সব জেলায় লড়াই হচ্ছে, জমি দখল মুক্ত করা হচ্ছে। আমাদের লড়াই খেতে খাওয়া মানুষের লড়াই।
আমাদের কথা শহরের মানুষরা জানে না আমরা রোজ ১৫০ টাকা পাই আর ২ কেজি চাল।
২০১১ সালের বামফ্রন্ট সরকারের দেওয়া জমি লুঠ করা হচ্ছে। ভোট বাক্স আলাদা আর রুটি রুজির লড়াই আলাদা। খেতে খাওয়া মানুষের টাকায় এই মঞ্চ।
আমরা বলেছি ১০০ দিনের কাজ ২০০ দিন করতে হবে। হয় টাকা দাও না হলো কাজ দাও। আমাদের লড়াই গরিব মানুষের জন্য লড়াই। বামফ্রন্ট সরকার আমাদের এগিয়ে নিয়ে যেতে চেয়েছিল। আজ এরা আমাদের পিছিয়ে দিচ্ছে।
সরকার কাজ দিতে পারছে না বলছে চপ বিক্রি কর। কেন করবে?
আগামী দিনে আমাদের অনেক কাজ। বুথে লড়াই করতে হবে। ভয় কে জয় করে এগোতে হবে, বুকের পাটা শক্ত করে এগিয়ে যেতে হবে
এই সমাবেশকে ভয় পেয়ে লঞ্চ বন্ধ করে দিয়েছে। সব ফাটল ধরেছে, এবার আরো ফাটল ধরবে।
বামফ্রন্ট জমি দিয়েছিল সেই জমি কেরে নিতে এসেছিল, কেন আমরা মেনে নেবো। পুলিশ টেবিলের তলায় থাকে ওদের ভয় পাবো, আর হাট।
বিডিও বলছে মহিলা লক্ষির ভান্ডার পাচ্ছে। আমরা বলছে এই রাজ্যে মহিলাদের কোন সম্মান নেই।
আমরাও খেলবো। ২৬ এর নির্বাচনে উইকেট ফেলবো। কাল থেকে আমরা আবার বুথে বুথে পৌঁছে যাবো
Comments :0