Maharashtra Power Strike

মহারাষ্ট্রে বিদ্যুৎ ধর্মঘটে সমর্থন সিআইটিইউ’র

জাতীয়

Maharashtra Power Strike

রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদ আদানি গোষ্ঠীর হাতে তুলে দিচ্ছে মহারাষ্ট্র সরকার। সরকারি বিদ্যুৎক্ষেত্রকে বাঁচাতে টানা ৭২ ঘন্টার ধর্মঘটে নামলেন বিদ্যুৎকর্মীরা। রাজ্যের ৩০টি ট্রেড ইউনিয়নের যৌথ আহ্বানে গুরুতর প্রভাদ পড়বে বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে। সরকারি বিদ্যুৎ ক্ষেত্রকে বাঁচাতে কর্মীদের এই লড়াইকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে সিআইটিইউ। 

সিআইটিইউ’র সাধারণ সম্পাদক তপন সেন বুধবার বলেছেন, ‘‘রাজ্য বিদ্যুৎ পরিবহণ সংস্থার তুলনায় আদানির বিদ্যুৎ সংস্থার মাসুল চড়া। তীব্র সঙ্কটে পড়বেন প্রায় ২ কোটি ৮০ লক্ষ গ্রাহক। সবচেয়ে সমস্যা হবে দারিদ্রসীমার নিচের অংশ, কৃষক এবং গ্রামাঞ্চলের পরিবারগুলির।’’ বিদ্যুৎকর্মীদের ধর্মঘট এবং আন্দোলনের পাশে সব অংশের মানুষকে এগিয়ে আসার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি। 

সিআইটিইউ’র বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতিতে স্পষ্ট কেন্দ্রের নতুন বিদ্যুৎ বিল পাশ হলে তার ফল কী হবে। সংসদে বিদ্যুৎ আইন সংশোধনের এই বিল পেশ করে রেখেছে কেন্দ্রের বিজেপি জোট সরকার। রাজ্য বিদ্যুৎ সংস্থার পাশাপাশি ‘সমান্তরাল লাইসেন্স’ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বেসরকারি সংস্থাগুলিকে। বিল পাশ হলে পরিণতি বিপর্যয়কর হবে। 

টানা প্রায় দু’মাস আন্দোলনে মহারাষ্ট্রের বিদ্যুৎকর্মীরা। আদানি গোষ্ঠীর হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে নভি মুম্বাইয়ের ভান্ডুপ সার্কেল। সেন বলেছেন, ‘‘টরেন্ট পাওয়ার এবং টাটা গোষ্ঠীও এই ব্যবসা পেতে আগ্রহী ছিল। যে এলাকাগুলি থেকে আয়ের প্রায় অর্ধেকই আসে, বেছে বেছে সেগুলিকেই বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে।’’ 

এর আগে ৩৫ হাজার বিদ্যুৎকর্মী বিধানসভা অভিযান করেছেন। ২ জানুয়ারি থানেতে ১০ হাজার বিদ্যুৎকর্মী প্রতিবাদে অংশ নিয়েছেন। সিআইটিইউ বলেছে, ধর্মঘটে যাওয়া ছাড়া আর কোনও রাস্তা খোলা ছিল না। প্রতিবাদ জানালেও মানতে নারাজ সরকার। উলটে ধর্মঘটকে বেআইনি ঘোষণা করা হুঁশিয়ারি দিয়েছে। সরকারের এই মনোভাবের তীব্র বিরোধিতা করেছে সিআইটিইউ।    

Comments :0

Login to leave a comment