গত ২৭ অক্টোবর পশ্চিমবঙ্গ সহ ১২টি রাজ্যে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনের কথা ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। তারপর থেকেই এসআইআর আতঙ্কে রাজ্যে একাধিক আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনা সামনে আসতে শুরু করে। নিহতদের পরিবার দাবি করে এসআইআর আতঙ্কেই আত্মঘাতী হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে হাওড়ার উলুবেড়িয়ায় এক যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। মৃতের পরিবারের দাবি, এসআইআর আতঙ্কেই আত্মঘাতী হয়েছেন ওই যুবক। এদিন দুপুরে আরও একটি মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে মুর্শিদাবাদে। এক কৃষক কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন। কান্দি পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডে বাসিন্দা আত্মঘাতী কৃষকের নাম মোহন শেখ(৪৫)। তাঁর পরিবারও দাবি করেছেন ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম ছিল না। সেই আতঙ্কেই আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি। এই নিয়ে রাজ্যে ‘এসআইআর-আতঙ্কে’ মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ছয়। যদিও মৃতদের পরিবারের সঙ্গে এই মৃত্যুর জন্য এসআইআরকেই দায়ী করছে তৃণমূল।
মৃত কৃষকের পরিবারের দাবি এদিন চাষের কাজে গিয়ে কীটনাশক খেয়ে অসুস্থবোধ করতে থাকেন মোহন। মাঠে থাকা অন্যান্য কৃষকরা তাঁকে দ্রুত উদ্ধার করে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাঁকে বহরমপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় তাঁর। খবর যায় কান্দি থানায়। কান্দি থানার পুলিশ দেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়ে দেয়। মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কান্দি থানার পুলিশ। এই নিয়ে রাজ্যে ছয়জনের মৃত্যুতে এসআইআর আতঙ্কের অভিযোগ উঠল।
এর আগে আগরপাড়ার প্রদীপ করের মৃত্যুতে এই অভিযোগ তুলেছিল তাঁর পরিবার। ৩০ অক্টোবর বীরভূমের ইলামবাজারে ৯৫ বছরের বৃদ্ধ ক্ষিতীশ মজুমদারের মৃত্যুতেও একই অভিযোগ ওঠে। নির্বাচন কমিশনের নামে অভিযোগও দায়ের করেছে পরিবার। এরপর দিঘায় শেখ সিরাজুদ্দিন, ডানকুনির হাসিনা বেগের মৃত্যুতেও এসআইআর আতঙ্কের অভিযোগ তুলেছে পরিবার। কান্দির কৃষকের মৃত্যুও এসআইআর আতঙ্কে হয়েছে বলে দাবি করছে পরিবার।
SIR Panic
কান্দিতে আত্মঘাতী কৃষক, এসআইআর আতঙ্কে দাবি পরিবারের
×
Comments :0