SSC Scam Sujan Chakrabarty

হকের চাকরি ফেরাতে আদালতে দায় নিন মুখ্যমন্ত্রী, দাবি সুজন চক্রবর্তীর

রাজ্য

হলফনামা দিয়ে নিজের দোষ স্বীকার করুক সরকার। সুপ্রিম কোর্টে মুখ্যমন্ত্রী জানান যে দায় তাঁর। অস্বচ্ছতা চিহ্নিত হয়নি যাঁদের পরে কোনও সমস্যা তাঁদের কারও নিয়োগে ধরা পড়লে তার দায় নিজে নিন। এই মর্মে স্পেশাল রিভিউ পিটিশন দাখিল করুন সুপ্রিম কোর্টে।
চাকরিহারা এবং চিহ্নিত অস্বচ্ছের তালিকায় নেই এমন শিক্ষকদের পক্ষে এই দাবি তুললেন সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী। 
সোমবার চাকরিহারা শিক্ষকদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে শিক্ষাসচিব বৈঠক করলেও ছিলেন না শিক্ষামন্ত্রী। 
চক্রবর্তী বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী দেখা করছেন না কারণ উনি ধরা পড়ে যাবেন। চকরি দেওয়ার জন্য ব্যবস্থাপনা হয়নি। ব্যবস্থাপনা হয়েছে চাকরি চুরির জন্য। তার দায় মুখ্যমন্ত্রীর। মুখ্যমন্ত্রী নিজের অপরাধ জানেন বলেই বসছেন না। শিক্ষামন্ত্রীও বসছেন না। এগিয়ে দিচ্ছেন শিক্ষা সচিবকে। কিন্তু আসল দায় তো মুখ্যমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রীর।’’


২০১৬ সালের স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় ফল ঘোষণার পর থেকে বেনিয়ম বেরতে শুরু করে। বহু চাকরিপ্রার্থী বিক্ষোভেও নামেন। হাইকোর্টে কমিশনকে যোগ্যদের তালিকা দিতে বলা হলেও তা দেয়নি। সুপ্রিম কোর্টেও কোনও তালিকা দেয়নি কমিশন বা রাজ্য সরকার। আদালতের নির্দেশে সিবিআই তদন্তের জেরে চিহ্নিত হয় কাদের নিয়োগ অস্বচ্ছ। কিন্তু বাকিদেরও যোগ্য বলতে রাজি হয়নি কমিশন। যে কারণে বাতিল হয় প্যানেল।    
চক্রবর্তী বলেন, ‘‘মেধার ভিত্তিতে যাদের চাকরি হয়েছে তাদের হক কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। এঁরা তো নিজেদের নিয়োগপত্র লেখেননি। যাঁরা মেধার ভিত্তিতে চাকরি পেয়েছেন, যাঁদের নাম ‘অস্বচ্ছ পদ্ধতিতে নিযুক্তদের’ তালিকায় নেই, তাঁদের সরকার রক্ষা করতে পারছে না কেন? 
তাঁরা তো সরকারের কাছে বলেছে ওএমআর শিট দাও। কেন ওএমআর শিট দিচ্ছে না। তাঁরা বলছেন, আমাদের নিয়োগ যে অস্বচ্ছ পদ্ধতিতে নয় তা আদালতে হলফনামা দিয়ে জানিয়ে দাও। সরকার সে কথা হলফনামা দিয়ে বলতে পারছে না। স্কুল সার্ভিস কমিশনও বলতে পারেনি। সরকার, কমিশন এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অপরাধের জন্য এই শিক্ষকরা রাস্তায় বসছেন।’’ 
চক্রবর্তী বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী কেন বসবেন না? উনি অযোগ্যদের পাশে রয়েছেন। উনি চাকরি চোরদের পাশে।’’
চক্রবর্তী বলেন, ‘‘হকের চাকরি ফেরত পাওয়াটা জরুরি। সেই সুযোগ নষ্ট হয়েছে সরকারের জন্য। হয়ত এখনও কিছু সুযোগ আছে। তার জন্য সরকারকে দায় স্বীকার করতে হবে। সরকার আদালতে বলুক, অপরাধের দায় আমার, ওদের শাস্তি দেবেন না। কেন হলফনামায় সেকথা বলছে না? কেন আদালতকে জানাচ্ছে না যে যাদের চাকরি অস্বচ্ছ পদ্ধতিতে হয়েছে বলে চিহ্নিত তাদের টাকা ফেরত নেব। সরকার রিভিউ করার দিকেও যাচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রীর অন্তত ন্যূনতম বিবেচনা বোধ হোক। স্পেশাল রিভিউ পিটিশন দাখিল করে দায় নিজের ঘাড়ে নিন।’’

Comments :0

Login to leave a comment