পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনে জাতভিত্তিক জনগণনার স্লোগানকে মুখ্য হাতিয়ার করছে কংগ্রেস। সোমবার কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকেই এই পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়েছে। কংগ্রেস বলেছে, প্রধানমন্ত্রী জাতভিত্তিক সমীক্ষা করবে না। কংগ্রেসই এই দায়িত্ব নেবে।
বিহারের পর রাজস্থান সরকার জাতভিত্তিক সমীক্ষা করার ঘোষণা করেছে। এই দাবি উঠেছে বিজেপি বিরোধী দলগুলির মঞ্চ ‘ইন্ডিয়া’-র বৈঠকে।
সোমবারই রাজস্থান, ছত্তিশগড়, মধ প্রদেশের মতো হিন্দি বলয়ের পাশাপাশি পাঁচ রাজ্যে নির্বাচনের সূচি ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। বিধানসভা ভোটের প্রচারের বিষয়ও আলোচিত হয়েছে বৈঠকে। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে সামাজিক ন্যায়ের পাশাপাশি মূল্যবৃদ্ধি, বেকারি এবং পুরনো পেনশন প্রকল্পের মতো অর্থনৈতিক ন্যায়ের দাবিতেও জোর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে সেই প্রসঙ্গ মনে করিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তিনি বলেছেন, ‘‘বিরোধী মঞ্চ ‘ইন্ডিয়া’-র বেশিরভাগ দলই জাতভিত্তিক সমীক্ষার পক্ষে। কারও সামান্য মতপার্থক্য থাকলেও সমস্যা হবে না। ‘ইন্ডিয়া’-র বড় অংশই জাতভিত্তিক জনগণনার পক্ষে।’’
সূত্র জানাচ্ছে, ‘ইন্ডিয়া’-র বৈঠকে জাতভিত্তিক সমীক্ষা প্রসঙ্গে আপত্তি জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রকাশ্যে যদিও তৃণমূল এ সম্পর্কে আলাদা কোনও অবস্থান জানায়নি।
রাহুল আক্রমণাত্মক সুরেই বলেছেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী জাতভিত্তিক সমীক্ষা করাবেন না। কংগ্রেসের চার মুখ্যমন্ত্রীর তিনজনই অন্য অনগ্রসর অংশের। বিজেপি’র ১০ মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে একজনই কেবল এই অংশের।’’
২ অক্টোবর পাটনায় বিহারে জাতভিত্তিক সমীক্ষার ফলাফল জানান মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। দেখা গিয়েছে ৬৩.১ শতাংশ অন্য অনগ্রসর অংশের এ রাজ্যে।
বামপন্থীরা জাতভিত্তিক সমীক্ষাকে সমর্থন করে আগেই বলেছে যে দেশের প্রতিটি পরিবারের আর্থ সামাজিক অবস্থা জানা জরুরি। কেবল জাতভিত্তিক সমীক্ষাই নয়, নরেন্দ্র মোদী সরকারের সময়ে বন্ধ করা হয়েছে জনগণনাও।
২০১১’তে জনগণনার পাশাপাশি জাতভিত্তিক এবং আর্থ সামাজিক সমীক্ষার রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। বহু কেন্দ্রীয় প্রকল্প জাতভিত্তিক এবং আর্থ সামাজিক সমীক্ষা রিপোর্টের ভিত্তিতেই উপভোক্তা ঠিক করে। দশ বছর পর নতুন করে সমীক্ষা না করলে উপভোক্তার তালিকা থেকে বাদ রয়েছেন কারা জানা যাচ্ছে না। ফলে দেশের বিভিন্ন আন্দোলনও এই দাবি তুলেছে।
Comments :0