'Didir Doot' Deganga

‘দিদির দূত’ ফের বিতর্ক দেগঙ্গায়

জেলা

Didir Doot Deganga

এম এল'র খবর আছ। মূল টার্গেট এম এল এ। সুজিতদা চলে গেলেই এম এল এ'র খবর আছ। দুই তৃণমূল কর্মীর কথোপকথনের অডিও টেপ ভাইরাল হতেই শোরগোল পড়ে গেছে উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গায়। যদিও এই অডিও টেপটি যাচাই করে দেখেনি গণশক্তি। তথাপি দেগঙ্গা জুড়ে এখন একটাই আলোচনা বৃহস্পতিবার বিধায়ক রহিমা মণ্ডলকে যে বা যারা হেনস্থা করলো তা আগাম পরিকল্পনা অনুযায়ী করা হয়েছে। তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের ফলেই যে ঘটনাটি ঘটেছে তা এই অডিও টেপটি ভাইরাল হতেই গোটাতে বিষয়টি পরিস্কার তা সহজেই অনুমান করছেন দেগঙ্গার আপামর সাধারণ মানুষ। পাশাপাশি বিরোধী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে এই ঘটনার নিন্দা জানানো হয়েছে।


বৃহস্পতিবার দেগঙ্গার চাকলায় দিদির দূত কর্মসূচিতে দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুর সামনে মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য ও কর্মীরা। দেগঙ্গার বিধায়ক রহিমা মন্ডলকে হেনস্হা করা মূল লক্ষ্য ছিল। যা নিয়ে ইতিমধ্যে একটি অডিও টেপ ভাইরাল হতে দেখা গেছে।দেগঙ্গা পঞ্চায়েত সমিতির জনস্বাস্থ্যের কর্মাধ্যক্ষ ওমর ফারুক অডিওর মধ্যে কোন এক তৃণমূল কর্মীকে বলছেন দিদির দূতে বিধায়ক এলে মার খাবে, এমএলএ হেনস্হা হবে। পাশাপাশি ব্লক সভাপতি আনিসুর রহমান বলে দিয়েছে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মিন্টু সাহাজির সঙ্গে কিছু হবে না। যা হবে এম এল এ'র সাথে হবে। তার জন্য লোকজন রেডি আছে। তবে এই অডিওর বিষয়ে ওমর ফারুককে ফোনে যোগাযোগ করা হলে দেখা যায় তার ফোন বন্ধ রয়েছে। আর এই অডিও টেপটি ভাইরাল হতেই অস্বস্তিতে শাসকদল। বিধায়ক রহিমা মন্ডল বলেন এটা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমাকে হেনস্থা করা হয়েছে। দলের এক অংশ এই ঘটনায় জড়িয়ে রয়েছে। উচ্চ নেতৃত্বের কাছে আবেদন করব বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার। আমি দেগঙ্গার মানুষের জন্য কাজ করে চলেছি। তাই এইসব আমল দেওয়ার প্রয়োজন মনে করি না।


দেগঙ্গা ব্লক সভাপতি আনিসুর রহমান বলেন মন্ত্রী সুজিত বসুকে নিয়ে বিধায়ক রহিমা মন্ডল এবং আমরা সফলভাবে দিদির দূত সম্পূর্ণ করেছি। কে কি কোন অডিও ভাইরাল করেছে, দলের সঙ্গে এর কোন সম্পর্ক নেই। তিনি এই অডিও ভাইরালকে গুরুত্ব দিতে নারাজ।

 

Comments :0

Login to leave a comment