জানা অজানা — নতুনপাতা, কবিপক্ষ - বর্ষ ৩
বিশ্বের সবচেয়ে রঙিন স্তন্যপায়ী প্রাণী
তপন কুমার বৈরাগ্য
বিশ্বের সবচেয়ে রঙিন স্তন্যপায়ী প্রাণী হল ম্যান্ডিল বাঁদর।
যাকে কেউ কেউ বনের বেবুনও বলে।পশ্চিম মধ্য আফ্রিকার
গিনি এবং ক্যামেরুনে এদের দেখা যায়।একটা প্রাণীর মধ্যে এতো
রঙিন রঙের প্রাধান্য আর অন্য কোন প্রাণীর মধ্যে দেখা যায়
না।মুখটা গাঢ় লাল এবং গাঢ় নীল।পিছন দিকটা গাঢ় লাল।
ঘাড় এবং পেটটা সাদা।গলায় যেন সাদা রঙের ফুলের মালা
পরানো।পাগুলো খুব মোটা।দেহ মোটা এবং অসাধারণ
শক্তিশালী। পুরুষদের পাখনা আছে কিন্তু এই পাখনা উড়ার
কোনো কাজে লাগে না।এরা গ্রীষ্মমন্ডলীয় প্রাণী।খুব তাপ
সহ্য করতে পারে।১৭৬৬খ্রিস্টাব্দে জজেস লুই বুফল এই
প্রাণীর নামকরণ করেন।এদের নিকটতম প্রাণী হচ্ছে ড্রিল।
তবে ড্রিল এতো রঙিন প্রাণী নয়।এরা সবরকমের ফল।বিশেষ
করে কলা এদের কাছে সবচেয়ে প্রিয় ফল।এছাড়া বীজ,
যে কোন ঘাছের পাতা,মাশরুমও এদের প্রিয় খাদ্য। এরা গাছে
গাছে ভালো লাফাতেও পারে।এই বানরকে একবার দেখলে
যেন দেখার তৃষ্ণা মেটে না।আমাদের দেশের বানরের চেয়ে
ম্যান্ডিল বাঁদর দ্বিগুন বড় হয়।এরা শক্তিশালী এবং বৃহদাকার
হতে পারে;কিন্তু হিংস্র নয়। এরা বড্ড লাজুক প্রকৃতির প্রাণী।
মানুষের সাথে এরা খুব বেশি ঘনিষ্ঠ হতে পারে। বনে থাকলে
এদের আয়ু ৪০বছর পর্যন্ত হতে পারে কিন্তু চিড়িয়াখানার
কৃত্রিম পরিবেশি এদের রাখলে এদের আয়ু অনেকটায় কমে যায়।
গিনি ক্যামেরুনে বন ধ্বংসের জন্য এদের সংখ্যা দিনের পর দিন
কমে যাচ্ছে। এরা এদের ধারাল দাঁত একমাত্র খাদ্য গ্রহণের সময়
এবং আত্মরক্ষার সময় ব্যবহার করে। এরা স্তন্যপায়ী প্রাণী।
সরাসরি বাচ্চা হয়।
ভারতের জামসেদপুরে "টাটা স্টিল জ্যুওলজিক্যাল পার্কে" এই ম্যান্ডিল বাঁদর আছে।
Comments :0