GBS Syndrome

বাড়ছে মহারাষ্ট্রে, গুলেন বেরি সিনড্রোমে আক্রান্ত রাজ্যের দুই শিশু

জাতীয় রাজ্য

গুলেন বেরি সিনড্রোমে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে মহারাষ্ট্রে। রাজ্যের দুই শিশু গুলেন বেরি সিনড্রোমে আক্রান্ত সোমাবার এমনই খবর পাওয়া গিয়েছে। ওই দুই শিশু ইন্সটিটিউট অফ চাইল্ড হেলথের ভেন্টিলেশনে ভর্তি রয়েছে। আরও কয়েকজন এই গোরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।  
পুণেতে গুলেন বেরি সিনড্রোমে আক্রান্তের সংখ্যা ইতিমধ্যেই একশো ছাড়িয়েছে। শোলাপুরে মৃত্যু একজনের। সোমবার মহারাষ্ট্রের এক স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘‘মহারাষ্ট্রের সোলাপুর জেলায় গুলেন বেরি সিনড্রোমে আক্রান্ত সন্দেহভাজন একজন ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। পুনেতে এই রোগ আক্রান্তের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে। এই রোগে মহারাষ্ট্রে সম্ভবত এটিই প্রথম মৃত্যু যা জিবিএসের কারণে হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।’’ স্বাস্থ্য আধিকারিকের মতে ৪০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি, যিনি সোলাপুরের বাসিন্দা, পুনেতে এসেছিলেন, যেখানে তিনি এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। "শ্বাসকষ্ট, দুর্বলতা এবং ডায়রিয়ার মতো লক্ষণগুলিতে ভুগছেন এমন রোগীকে গত ১৮ জানুয়ারী সোলাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তিনি ভেন্টিলেটর সাপোর্টে ছিলেন। রবিবার তাঁর মৃত্যু হয়েছে। সোলাপুর সরকারি মেডিকেল কলেজের ডিন ডাঃ সঞ্জীব ঠাকুর জানিয়েছেন,‘‘তাঁর মৃত্যুর পর রিপোর্ট সোলাপুর সরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়। প্রাথমিক রিপোর্টে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে যে তিনি জিবিএসে আক্রান্ত ছিলেন। ডাঃ ঠাকুর বলেন, মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে একটি ক্লিনিক্যাল ময়নাতদন্তও করেছেন। তবে প্রাথমিক রিপোর্টে বলা হয়েছে যে মৃত্যু জিবিএসের কারণেই হয়েছে। তিনি আরও জানান, মৃত ব্যক্তির রক্তের নমুনা আরও পরীক্ষার জন্য পুনের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজিতে(এনআইভি) পাঠানো হয়েছে।
রাজ্য স্বাস্থ্য বিভাগের একজন আধিকারিক রবিবার জানিয়েছিলেন, রবিবার পুনেতে মোট জিবিএস রোগীর সংখ্যা বেড়ে ১০১ জনে দাঁড়িয়েছে। যার মধ্যে ৬৮ জন পুরুষ এবং ৩৩ জন মহিলা। এর মধ্যে ১৬ জন রোগী ভেন্টিলেটর সাপোর্টে আছেন। স্থানীয় নাগরিক সংস্থার স্বাস্থ্য বিভাগের সূত্র অনুসারে, কেন্দ্রীয় সরকার পাঠানো একটি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের একটি দল পুনেতে এসেছে।
রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্রকাশ আবিতকর বলেন, ‘‘সাধারণত, এই রোগের কারণে মৃত্যু হয় না। তবে, অস্বাভাবিকভাবে সোলাপুরে জিবিএস আক্রান্ত সন্দেহভাজন একজন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং আরও হতাহতের ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য সচেতনতা তৈরি করা হচ্ছে।’’

Comments :0

Login to leave a comment