কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন ও কর্মচারী ফেডারেশন সমূহের ডাকে ধর্মঘটের সমর্থনে শুক্রবার বিশাল মিছিল হয়েছে দুর্গাপুরে।
৯ জুলাই ধর্মঘটের ডাকে যুক্ত হয়েছে কৃষক-খেতমজুর মঞ্চ সংযুক্ত কিসান মোর্চা। ছাত্র, যুব, মহিলা, শিক্ষক, সরকারি কর্মচারী সহ সমাজের সব অংশ শামিল হয়েছে দেশজুড়ে সাধারণ ধর্মঘটের ডাকে।
দুর্গাপুরে মিছিলে অংশ নেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, পলিট ব্যুরো সদস্য রামচন্দ্র ডোম, সিআইটিইউ নেতা এবং সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আভাস রায়চৌধুরী সহ বহু শ্রমজীবী। বেনাচিতি ভিরিঙ্গী মোড় থেকে পাঁচমাথা মোড় পর্যন্ত মিছিল হয়।
মহম্মদ সেলিম বলেছেন, কেন্দ্রে আসীন বিজেপি সরকারের শ্রম বিরোধী, কৃষক বিরোধী জনবিরোধী নীতির প্রতিবাদে এই ধর্মঘট। বিজেপি এবং তাদের দালাল তৃণমূলের সঙ্গে নেই এমন সব অংশ শামিল ধর্মঘটে। শামিল হয়েছেন নিজস্ব দাবিদাওয়া নিয়ে।
আমাদের কারখানায় বিভিন্ন সলঘঠনের নানা মত থাকতে পারে। কিন্তু মালিকদের পক্ষে কর্পোরেশের পক্ষে যে শ্রমিক বিরোধী শ্রম কোড লাগু করার চেষ্টা করছে তার বিরুদ্ধে আমরা সবাই এক জায়গায় রয়েছি।
সেলিম বলেন, কৃষক ফসলের দাম পাচ্ছে না। সহায়ক মূল্য আইন করা হচ্ছে না। খেতমজুদের ন্যূনতম মজুরি নেই। যুবদের সুরক্ষিত কাজ নেই। তাঁদের সামাজিক নিরাপত্তা নেই, ন্যূনতম কাজের নিশ্চয়তা নেই। ঠিকা শ্রমিকরা অনিশ্চিত। তাঁদের ২৬ হাজার টাকা বেতন দিতে হবে।
এমন ভয়াবহ বেকারি আগে ছিল না। তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় সব ট্রেড ইউনিয়ন। যুবদের কাজের দাবি উঠছে।
সেলিম বলেন, এ রাজ্যে প্রতিদিন সাধারণ মানুষ আক্রান্ত। মেডিক্যাল কলেজের ডাক্তার, আইন কলেজের ছাত্রী তৃণমূলের মস্তান বাহিনীর হাতে আক্রান্ত। নির্যাতন হচ্ছে, খুন হচ্ছে।
সেলিম বলেন, ৯ বছরের ছাত্রী তমন্নাকে খুন করছে কালীগঞ্জে। দেশে মানুষের মধ্যে ভাগাভাগি হচ্ছে। দলবেঁধে পিটিয়ে খুন করা হচ্ছে। এই রাজনীতির বিরুদ্ধে আমাদের ধর্মঘট।
সেলিম বলেন, পাড়ায়, গ্রামে, কল-কারখানায় এই প্রচার আগামী কয়েকদিন আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। যাতে সমাজের সব অংশকে শামিল করা যায় ধর্মঘটে।
9 July Strike Durgapur
ধর্মঘটের প্রচারে বিশাল মিছিল দুর্গাপুরে

×
Comments :0