শাহী ঈদগাহ মসজিদকে বিতর্কিত কাঠামো ঘোষণার আবেদন খারিজ করলো এলাহাবাদ হাইকোর্ট। অযোধ্যার রাম মন্দির উদ্বোধনের পর কাশি এবং মথুরা নিয়ে হিন্দুত্ববাদী জিগির তোলা হয় উগ্র-হিন্দুত্ববাদীদের পক্ষ থেকে। হিন্দুত্ববাদীদের পক্ষ থেকে আদালতের কাছে আবেদন জানানো হয় যে, এই সংক্রান্ত মামলায় আদালতে যেই নথি রয়েছে তাতে শাহী ঈদগাহ মসজিদকে বিতর্কিত কাঠামো হিসাবে উল্লেখ করা উচিত। মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে এই আবেদনের বিরোধিতা করা হয়। এদিন আদালত এই আবেদন সরাসরি খারিজ করে দিয়েছে।
এর আগে শাহী ঈদগাহে সমীক্ষার আবেদনে সায় দিয়েছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট।
বারাণসী বা কাশীতে জ্ঞানবাপী মসজিদে ‘বিজ্ঞানসম্মত সমীক্ষা’-র আবেদনে সায় দিয়েছিল আদালত। সমীক্ষার দায়িত্ব দেওয়া হয় ভারতীয় প্রত্নতাত্ত্বিক সর্বেক্ষণ বা এএসআই’কে। ঈদগাহের বিজ্ঞানসম্মত সমীক্ষার রিপোর্ট এখনও পর্যন্ত সামনে আসেনি। ২০২৩ সালে এই নির্দেশ দিয়েছিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট।
উগ্র হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি অযোধ্যায় মসজিদ ভেঙে মন্দির করার আন্দোলনের সময় থেকে বারাণসী এবং মথুরা নিয়ে স্লোগান তুলে এসেছে। বলা হতো, ‘ইয়ে তো সিরফ ঝাঁকি হ্যায়, কাশী মথুরা বাকি হ্যায়’।
মথুরাতেও শাহী ঈদগাহ মসজিদ ঘিরে বিতর্ক তোলা হয়েছে যে হিন্দু মন্দির ভেঙে তৈরি এই মসজিদ। আদালতে তা নিয়ে আবেদনের জেরে সমীক্ষায় অনুমোদন দিয়েছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট।
উল্লেখ্য বাবরি মসজিদ ভেঙে রামমন্দির তৈরির মামলায় রায় দেওয়ার সময় সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল যে পরে অন্য ধর্মীয় উপাসনা ক্ষেত্রে দেশে চালু আইন মানা হবে। ১৯৯১ সালে উপাসনাস্থল আইনে বলা হয়েছিল যে তার চরিত্র বদলানো যাবে না। ১৯৪৭’র ১৫ আগস্ট যে উপাসনা স্থলের যা চরিত্র তা বজায় রাখতে হবে। বারাণসীর জ্ঞানবাপী এবং মথুরার শাহী ঈদগাহ এই আইনের আওতায় পড়ে।
বিভিন্ন অংশই মনে করাচ্ছেন যে হিন্দুত্ববাদীদের ভেঙে দেওয়া বাবরি মসজিদ ঘিরেও একাধিক সমীক্ষা হয়েছে। কিন্তু কোনও সমীক্ষায় প্রমাণিত হয়নি যে মন্দির ভেঙে মসজিদ হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে কোনও সমীক্ষা থেকে মেলা তথ্যের উল্লেখও ছিল না। ভাবাবেগের ভরসায় ভেঙে দেওয়া মসজিদের জমিতে মন্দির গড়ার অনুমোদন দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।
মথুরায় শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরের পাশেই এই ঈদগাহ। তিন সদস্যের ‘অ্যাডভোকেট কমিশনার’-দের দল তৈরি করেছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট।
Mathura Shahi Idgaha
মথুরায় শাহী ঈদগাহকে বিতর্কিত কাঠামো ঘোষণা খারিজ করলো আদালত

×
Comments :0