General Strike

ধর্মঘটে সামিল হবেন রেল কর্মচারীরাও

রাজ্য কলকাতা

শ্রমুকোড বাতিল করা, অস্বাভাবিক দ্রব্যমূল্যে রোধ করা, রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প গুলির বিলগ্নীকরণ বন্ধ করা, প্রকল্প ও ঠিকা কর্মীদের স্থায়ীকরণ করার দাবি সহ ১৭ দফা দাবিতে আগামী ৯ জুলাই সারা দেশব্যাপী সাধারণ ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। সেই ধর্মঘটে শামিল হতে চলেছেন রেল কর্মচারীরাও।

শ্রমকোড বাতিল, ভারতীয় রেল বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে,  রেলে শূন্য পদে নিয়োগ, রেলে নতুন কাজের জন্য নতুন পদ সৃষ্টি সহ বিভিন্ন দাবিতে আগামী ৯ জুলাই সারা ভারত সাধারণ ধর্মঘট। তাতে সামিল হবেন রেল কর্মচারীরা। শুক্রবার একথা দৃপ্ত কন্ঠে ঘোষণা করলেন রেল কর্মচারী ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ। ইষ্টার্ন রেলওয়ে মেনস ইউনিয়নের ডাকে সাত দফা দাবিতে কলকাতায় পূর্ব রেলের সদর দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন ইষ্টার্ন রেলওয়ে মেনস ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অমিত কুমার ঘোষ ও এ আই আর এফ -এর সাধারণ সম্পাদক শিবগোপাল মিশ্র। সভায় সভাপতিত্ব করেন ইষ্টার্ন রেলওয়ে মেনস ইউনিয়নের সভাপতি চিত্তরঞ্জন সরকার। বিক্ষোভ সভায় রেল কর্মচারীদের উপস্থিতির ফলে কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে পূর্ব রেলের সদর দপ্তরের পাশের রাস্তা। পূর্ব রেলের বিভিন্ন ডিভিশন ও ওয়ার্কশপ থেকে রেল কর্মচারীরা শুক্রবারের বিক্ষোভ সভায় যোগ দেন।
অমিত কুমার ঘোষ বলেন, দেশের মানুষের উপর আক্রমণ নামিয়ে এনেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এর বিরুদ্ধে সারা দেশব্যাপী শ্রমজীবী মানুষের লড়াই তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকার শ্রম কোডের মাধ্যমে শ্রমজীবী মানুষের সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নিতে চায়। শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন করা ও ধর্মঘট করার অধিকার শ্রম কোডের মাধ্যমে কেড়ে নিতে চায় কেন্দ্রীয় সরকার। তিনি বলেন, দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলিকে বেসরকারি মালিকের হাতে তুলে দিতে সচেষ্ট হয়েছে কেন্দ্রের মোদী সরকার। রেল সহ বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থায় স্থায়ী শ্রমিক কর্মচারীর সংখ্যা কমিয়ে চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক নিয়োগ করা হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে রেল সহ রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে প্রতিবাদ আন্দোলনে সামিল হচ্ছেন। অমিত কুমার ঘোষ আরও বলেন, পুঁজি পতিদের স্বার্থে কাজ করছে কেন্দ্র সরকার। দেশের শ্রমজীবী মানুষের সাথে লড়াই চলছে সরকারের। আগামী দিনে শ্রমজীবী মানুষের জয় নিশ্চিত বলে জানান তিনি। অমিত ঘোষ বলেন, সারা দেশে ভারতীয় রেলে শুধুমাত্র ৩ লক্ষ ৪৩ হাজার শুন্যপদ রয়েছ। শুন্যপদে লোক নিয়োগ না করে অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের দিয়ে কাজ চালানো হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকার রেল কর্মচারীদের অবসরের পর পেনশন বন্ধ করতে সচেষ্ট হয়েছে। এর বিরুদ্ধে সারাদেশব্যাপী রেল শ্রমিক কর্মচারীরা যখন ঐক্যবদ্ধ ভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই আন্দোলনে সামিল হচ্ছেন তখন শ্রমিক কর্মচারীদের ঐক্য ভাঙতে বিভিন্ন পথ গ্রহণ করছে কেন্দ্রীয় সরকার। এর বিরুদ্ধেই আগামী ৯ জুলাই দেশব্যাপী ধর্মঘটে রেল শ্রমিক কর্মচারীরাও সামিল হবেন বলে জানান তিনি। 
শিবগোপাল মিশ্র বলেন, রেল কর্মচারীদের লাগাতার আন্দোলনে চাপে পড়ে বহু দাবি মেনে নিতে বাধ্য হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। বিভিন্ন দাবি দাওয়া আদায়ের দাবিতে দেশের রেল কর্মচারীরা একজোট হয়ে লড়াই চালাচ্ছেন। তিনি বলেন, বিভিন্ন উন্নত প্রযুক্তিকে ব্যবহার করেই কাজ করছেন রেল কর্মচারীরা। ভারতীয় রেলে নতুন কাজের জন্য নতুন পদ সৃষ্টির দাবি জানান শিবগোপাল মিশ্র।

Comments :0

Login to leave a comment