GAZA

ফের স্কুলে বোমা ইজরায়েলের, শিশু-মহিলা সহ নিহত অন্তত ৩৬

আন্তর্জাতিক

আরবের সংবাদমাধ্যমে দেওয়া হয়েছে আহতদের এই ছবি।

গাজার আরেকটি স্কুলে বোমা ফেলল ইজরায়েল। এখানেও অস্থায়ী ত্রাণশিবির খোলা হয়েছিল। এই হামলায় অন্তত ৩৬ জন প্যালেস্তিনীয় নিহত হয়েছেন। সোমবার সব মিলিয়ে অন্তত ৫০ প্যালেস্তিনীয় নিহত হয়েছে গাজা স্ট্রিপে। 
সংবাদমাধ্যমের একাংশ জানিয়েছে সংঘর্ষবিরতি চুক্তির নতুন প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে গাজার প্রতিরোধী সংগঠন হামাসকে। সম্মতি মিলেছে বলে জানানো হয়েছে প্যালেস্তাইনের এক আধিকারিককে উদ্ধৃত করে। যেন হামাসের জন্যই আটকে রয়েছে সংঘর্ষ বিরতি! বাস্তবে সেই সম্ভাবনাকে খারিজ করতে আক্রমণ জারি রেখেছে ইজরায়েল। 
গাজার জাবালিয়ায় ফহমি-আল-জরজোয়াই স্কুলে বোমা ফেলার কড়া নিন্দা করেছে হামাস। সোমবার হামাস বলেছে, গাজা থেকে প্যালেস্তিনীয়দের বিতাড়িত করা লক্ষ্যে সবরকমের অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে ইজরায়েল। 
গাজার প্রশাসন জানিয়েছে এদিনের হামলায় নিহতের বেশিরভাগ শিশু এবং মহিলা। নিহতদের দেহ এতটাই ঝলসে গিয়েছে যে তাঁদের চিহ্নিত করা যাচ্ছে না। যুদ্ধ বিধ্বস্ত গাজায় ক্ষুধার পাহাড়, নেই পানীয় জল, নেই ওষুধ। কোনোমতে অস্থায়ী শিবিরে মাথা গুঁজে ঠাসাঠাসি করে রয়েছে একের পর এক পরিবার। সেখানেই বোমা ফেলছে ইজরায়েল।
হামাস বলেছে, আন্তর্জাতিক স্তরে কোনও কার্যকরী বাধা নেই। ইজরায়েল ফ্যাসিস্ত কায়দায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে আমেরিকা দোষ চাপিয়ে যাচ্ছে হামাসের ওপর। বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে আমেরিকার প্রতিনিধি স্টিভ উইটকফ শান্তির পক্ষে প্রস্তাব পাঠিয়েছেন হামাসকে। সেখানে বলা হয়েছে তাদের হাতে বন্দিদের অর্ধেককে ছেড়ে দিতে হবে। বিনিময়ে ইজরায়েলের সেনা গাজার মাটি থেকে আপাতত সরবে। ইজরায়েলের জেলে দীর্ঘদিন বন্দি প্যালেস্তিনীয়দের একাংশকে ছাড়া হবে। কিন্তু সে প্রস্তাবে স্পষ্ট সম্মতি দেয়নি হামাস। ইজরায়েল এই শর্ত মানতে তৈরি।
আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, কূটনৈতিক স্তরে ইজরায়েল ক্রমশ নিঃসঙ্গ হচ্ছে। তার ফলে সমস্যায় পড়ছে প্রধান মদতদাতা আমেরিকা। ইজরায়েলের প্রশ্নে, অন্তত প্রকাশ্যে, কড়া মনোভাব দেখাতে হচ্ছে ব্রিটেন এবং ইউরোপের একাধিক দেশকে। দেশের ভেতরেও ভাপ বাড়ছে নেতানিয়াহু সরকারের ওপর। বন্দিদের ফেরানোর দাবিতে রাস্তায় নামছে বিক্ষোভ।

Comments :0

Login to leave a comment