অরিজিৎ মণ্ডল
কলেজ স্ট্রিট থেকে রবীন্দ্র সদন পর্যন্ত প্রায় ৬০ টি সংগঠনের মিলিত ডাকে মহা মিছিলের ডাক দেওয়া হয়। মঙ্গলবার বিকেল ৫টা নাগাদ এই মিছিল শুরু হয়। প্রায় ৫ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে এই মিছিল পৌঁছায় রবীন্দ্র সদন। মিছিলের শুরুর অংশ যখন রবীন্দ্র সদনে পৌঁছে গিয়েছে তখন শেষ ভাগ ময়দান মেট্রোর সামনে। অন্তত ১০ হাজার মানুষ এই মিছিলে পা মিলিয়েছিলেন।
ডাক্তাদের বিভিন্ন সংগঠন, ইস্টবেঙ্গল মোহনবাগান মহামেডানেই সমর্থকরা, বিভিন্ন এলাকার ক্লাব, সাধারণ মানুষ এই মিছিলে অংশ নেয়। শুধু তিলোত্তমার বিচারের দাবি নয়, দোষীদের যারা আড়াল করার চেষ্টা করছে তাঁদের শাস্তির দাবি ওঠে মিছিল থেকে।
গত বৃহস্পতিবার কামারহাটির সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নার্স ও জুনিয়র চিকিৎসকরা রোগীর আত্মীয়দের হাতে নিগ্রহ হয়। আবার কর্ম ক্ষেত্রে সুরক্ষা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠে আসছে। চিকিৎসক সংগঠন এএইচএসডি’র সম্পাদক ডাঃ উৎপল ব্যানার্জি বলেন,"গতকাল সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকারের আইনজীবী বলেছেন সাগরদত্ত ঘটনা ঘটছে রোগীকে ডাক্তার দেখেনি ও বেড পায়নি বলে। কিন্তু সেই তথ্য ভুল। তাঁকে ডাক্তার দেখেছিল। কিন্তু আইসিইউ-তে বেড পাননি রোগী। বেড দেওয়ার কাজ সরকারের। সরকারের ব্যর্থতার জন্য আইসিইউ বেড পাওয়া যায়নি। তার দায় ডাক্তারদের নয়"।
মিছিলে অংশ নেওয়া এক মোহনবাগান সমর্থক বলেন, "বাঙালি ভাগ হয় ইস্টবেঙ্গল মোহনবাগান ও মহামেডানে। তিলোত্তমা আমাদের সকলকে এক করে দিলো। তিলোত্তমার বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়বো না"।
মিছিলে উপস্থিত ছিলেন বহু পড়ুয়া শিক্ষক অধ্যাপক সহ সাধারণ মানুষ। শৈলেন্দ্র সরকার বিদ্যালয়ের এক প্রাক্তন শিক্ষক বলেন,"আমি সাধারণ নাগরিক হিসাবে এসেছি। সারা দেশ জুড়ে যে আন্দোলন চলছে আমি নাগরিক সমাজের ক্ষুদ্র অংশ হিসাবে তার সাথে সহমত পোষণ করি তাই আমি রাস্তায় নেমেছি"।
Comments :0